পুলিশ কর্মকর্তার সন্ধান চেয়ে কমিশনারের কাছে স্ত্রীর চিঠি

ঢাকা মহানগরে কর্মরত সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি ডিবি গুলশান) ইফতেখার মাহমুদের খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবার। ৬দিন ধরে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। সরকার পতনের সময় বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার কাছে রেখে আসা ইস্যুকৃত অস্ত্র ফিরে আনতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এঘটনায় এসি ইফতেখারের সন্ধান চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছেন তার স্ত্রী সাবা তাহসিন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনারের কাছে নিখোঁজ ইফতেখারের স্ত্রী সাবা তাহসিন চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন ইফতেখার মাহমুদ বাড্ডা থানা এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। সরকার পতনের খবরের পর সারা দেশে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকলে কোনও রকম প্রাণ বাঁচিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ইফতেখার। তখনো তার কাছে ইস্যুকৃত-অস্ত্র ছিল। পরবর্তীতে তিনি ৬ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তার কাছে আশ্রয় নেন।

বিমানবাহিনীর ফ্যালকন টাওয়ার থেকে ১১ আগস্ট তিনি বাসায় ফিরে আসেন। তার আগে ইস্যুকৃত অস্ত্রটি (স্কোয়াড্রন লিডার) আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফের হেফাজতে রেখে আসেন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর অফিসের কার্যক্রম শুরু হলে ১২ আগস্ট অস্ত্রটি ফেরত নেওয়ার জন্য আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফকে অনেকবার ফোনকল এবং মেসেজ দেন। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর দেননি। একদিন পর একটি মাধ্যমে জানতে পারেন, অপ্রত্যাশিত ঘটনা বসত এই বিমানবাহিনীর অফিসার হাউস অ্যারেস্ট রয়েছেন। তখন ইফতেখারের ইস্যুকৃত অস্ত্রটি আব্দুল্লাহ ইবনে আলতাফের কাছে থাকার কারণে চিন্তিত হন তিনি। পরবর্তীতে ১৭ আগস্ট অস্ত্র হারিয়ে যাওয়ার বিষয় উল্লেখ্য করে তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ইফতেখার।

সাবা তাহসিন চিঠিতে উল্লেখ্য করেন, এরপর গত ২২ আগস্ট একটি ফোনকল আসায় ইফতেখার বাসা থেকে গাড়ির চালকসহ বেরিয়ে যান। এরপর চালক তাকে পুরোনো বিমানবন্দর তেজগাঁও বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে নামিয়ে দিলে একজন এসে তাকে ভেতরে নিয়ে যান। এরপর থেকে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে এবং অফিশিয়াল নম্বরসহ কোথাও পাওয়া যায়নি। সব ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি। কোথাও খোঁজ না মেলায় পুলিশ কমিশনারের শরণাপন্ন হন বলে জানান সাবা।

চিঠির বিষয়ে গণমাধ্যমকে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, নিখোঁজ এসির স্ত্রীর চিঠি পেয়েছি। আমরা ইফতেখারের বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। যতটুকু জানতে পেরেছি ইফতেখার ভালো আছেন। নিরাপদ স্থানেই আছেন। দুই একদিনের মধ্যে তাকে ফিরে পাবো বলে আশা করছি।