সন্দীপ ঘোষের কেবিনে কেক কাটছে সঞ্জয়!‌ ভুয়ো খবরের জবাব দিয়ে সত্য ফাঁস করল তৃণমূল

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় একমাস ধরে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা বাংলা। এই আবহে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। এই ছবিকে ঘিরে শুরু হয়েছে আলোড়ন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের উপস্থিতিতে একটি কেবিনে সঞ্জয় রায় কেক কেটে জন্মদিন পালন করছে। একজন বহিরাগত হয়েও কেমন করে সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষের ঘরে প্রবেশ করল সঞ্জয়? হাসপাতালের দুর্নীতির সঙ্গে কি যুক্ত সঞ্জয়?‌ উঠছে প্রশ্ন। তবে এই ছবি দিয়ে যে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে তা সামনে নিয়ে এল তৃণমূল কংগ্রেস।

ছবিটি সম্পূর্ণ ভুয়ো তার প্রমাণও তুলে ধরা হল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। আসলে আরজি কর হাসপাতালের এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে এখন রাজনীতি শুরু হয়েছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি। এই ছবি–সহ ফেক নিউজ প্রকাশ্যে নিয়ে এসে বিজেপির বলতি বন্ধ করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলীয় নেতা–মন্ত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও সক্রিয় হতে হবে। আর পাঁচজন বিরোধী দলের নেতাদের মতোই সোশাল মিডিয়ায় অভ্যস্থ হতে হবে। এবার বলার পরই যেন কাজ হল। এই আসল তথ্য প্রমাণ ফাঁস করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নীলাঞ্জন দাস।

আরও পড়ুন:‌ নন্দনকাননের একাধিক নতুন অতিথিরা এল আলিপুর চিড়িয়াখানায়, কবে দেখা যাবে?‌

এই ছবিতে যিনি কেক কাটছেন তিনি কোনওভাবেই সঞ্জয় রায় নয় বলে তুলে ধরা হল এক্স হ্যান্ডেলে। একশ্রেণির গদি মিডিয়া এই কাজ করছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নীলাঞ্জন দাস। তাহলে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কেবিনে ওই ব্যক্তি কে?‌ উঠছে প্রশ্ন। সত্যিটা হল, ওই কেবিনে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ বসে আছেন ঠিকই। তবে যিনি কেক কাটছেন তিনি সঞ্জয় রায় নন। তিনি হলেন, সন্দীপ ঘোষের পিএ প্রসূণ চট্টোপাধ্যায়। যিনি ডিইও, সিএনএমসিএইচ। তিনি কেক কাটছেন সন্দীপ ঘোষের কেবিনে। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে চিহ্নিত করা হল সঞ্জয় রায় বলে। এভাবেই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ছে।

এই ভুয়ো খবরকে ঠেকাতেই এবার জমিয়ে আসরে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাঁরা এই ধরনের খবর করেছেন বা করছেন তাঁদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই সক্রিয় পদক্ষেপ দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস। না হলে জনমানসে খারাপ বার্তা যেত। তাই মেয়ো রোডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আপনারা কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় নন? পার্টি যখন করছে, আপনাদেরও এই কাজ করতে হবে। ভুয়ো ভিডিয়ো’‌র বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের লড়াই করতে হবে। দলে যাঁরা আছেন, ব্লক সভাপতি, কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ সকলকে এই কাজ করতে হবে। ওরা ভুয়ো ভিডিয়ো, খবর ছড়াচ্ছে। আমাদের সত্যিটা বলে তার মোকাবিলা করতে হবে।’‌ আজ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর বক্তব্য নিয়ে যে অপব্যাখ্যা ছড়ানো হচ্ছিল তার জবাব দিয়েছেন।