‘‌আপনার পুত্র রাজনীতিবিদ না হলেও আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন’‌, মমতার শুভেচ্ছা শাহকে

ইতিহাসে সবচেয়ে কনিষ্ঠতম। তবে এই অল্প বয়সেই আইসিসি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জয় শাহ। হ্যাঁ, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ। আর তাই এবার তাঁর বাবা অমিত শাহকে ‘শুভেচ্ছা’ জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার শীর্ষপদে এখন জয় শাহ। স্বাভাবিক কারণেই অনেকে অবাক হচ্ছেন। আবার অনেকে বলছেন, বাবা ওই পদে থাকলে ছেলে তো এমন জায়গায় পৌঁছবেই। এমন আবহে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর যা লিখেছেন তাতে অনেকে মনে করছেন, জয় শাহকে শুভেচ্ছা জানানোর ছলে আসলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘আপনার ছেলে রাজনীতিবিদ হয়নি। কিন্তু তার থেকেও আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছে। অভিনন্দন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আপনার পুত্র রাজনীতিবিদ না হলেও আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন। এই পদটি অধিকাংশ রাজনৈতিক পদের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পুত্র সত্যিই অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছেন। ওঁর এই সাফল্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।’

এখানে একটা বিষয় খুব লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছে। সেটা হচ্ছে, হঠাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছা, অভিনন্দন অমিত শাহকে জানিয়েছেন। যেখানে আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন তাঁর ছেলে জয় শাহ। তাঁকে কিন্তু সরাসরি অভিনন্দন জানাননি। এই ঘটনায় অনেকেই মনে করছেন, সোজাভাবে যা দেখা যাচ্ছে সেটা অতটা সোজা নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তার মধ্যে কটাক্ষের উপাদানও আছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী ‘ছেলে’ জয় শাহকে অভিনন্দন জানাননি। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তায় জয় শাহের নাম পর্যন্ত লেখা হয়নি। বরং মুখ্যমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন ‘পিতা’ জয় শাহকে। আর চর্চা আ নিয়েই হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দু’‌ঘণ্টা বৈঠক রাজ্যপালের, ঝটিকা সফরে নয়াদিল্লিতে বোস

অতীতের দিকে হাঁটলে দেখা যাবে, ২০২২ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে সুযোগ এসেছিল আইসিসির চেয়ারম্যান পদ পাওয়ার। কিন্তু সেটা বাস্তবে হয়নি। তখন তার জন্য অমিত শাহের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‌সৌরভ আইসিসিতে যাওয়ার যোগ্য। ওকে বঞ্চিত করা হল। বিজেপি সরকারের অনেককে আমি অনুরোধ করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও অনুরোধ করেছিলাম। সৌরভকে পাঠালে দেশের গৌরব বাড়ত। জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পাওয়ার আইসিসিতে গিয়েছিলেন। তা হলে কোন অজ্ঞাত কারণে সৌরভকে বঞ্চিত করা হল?’‌ আর এক সভায় একবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলেন, ‘‌আপনার ছেলের এত টাকা হল কেমন করে? এই প্রশ্নের উত্তরটা আগে দিন তো।’‌