এবার অভয়ার মৃত্যুর সময় নিয়ে গরমিল প্রকাশ্যে এল, পানিহাটি শ্মশানের তথ্যে নয়া মোড়

আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে এখন তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই ১৫ দিন কেটে গিয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি দেশের এক নম্বর তদন্তকারী সংস্থা। সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এখন সে সিবিআইয়ের হাতে। জেল হেফাজতে আছে অভিযুক্ত সঞ্জয়। এবার বড় ‘অসঙ্গতি’ সামনে এল। ৯ অগস্ট ঠিক কখন মৃত্যু হয়েছিল চেস্ট মেডিসিন বিভাগের তরুণী চিকিৎসকের? এই প্রশ্ন নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে মিলই নেই মৃত্যুর শংসাপত্রের? পানিহাটি শ্মশানের পক্ষ থেকে বিস্ফোরক দাবি করা হচ্ছে।

আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে আরজি কর হাসপাতালের মর্গে এসেছিল সিবিআই। এখানে অনিয়ম রয়েছে বলে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোলো তা এখনও জানানো হচ্ছে না। আজও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সিবিআই দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। কিন্তু গত ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে। ফরেনসিক পরীক্ষার পর সেদিনই আরজি কর হাসপাতালে হয় অভয়ার ময়নাতদন্ত। তারপর রাতে বাবা–মায়ের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। ওই রাতেই দাহকাজ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন:‌ আয়াকে আটকে রেখে পাণিহাটিতে যৌন নির্যাতন, ধরা পড়লেন বিজেপি নেতা, কটাক্ষ তৃণমূলের

কিন্তু এখন একটা গরমিল দেখা যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ অগস্ট ভোর ৩টে থেকে সকাল ৬টার মধ্যে মৃত্যু হয় অভয়ার। কিন্তু শ্মশানের রেজিস্টারের কপি বলছে অন্য কথা। পানিহাটির যে শ্মশানে অভয়াকে দাহ করা হয়েছিল সেখানের রেজিস্টারে লেখা, ‘মৃত্যুর সময় দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট।’ এই রেজিস্টার দেখেই ঘাট সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছে। দুটি নথিতে উল্লেখ করা সময়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে শ্মশানের ম্যানেজার বলছেন, ‘‌যে কেউ বললেই তো আর লিখতে পারব না। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা ছিল যে সময়টা সেটাই লেখা হয়েছে। এখানে কোনও ভুল হচ্ছে না।’‌

কিন্তু এই বদলে যাওয়া সময় নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেমন করে সময়টা বদলে গেল?‌ উঠছে প্রশ্ন। এই বিস্তর সময়ের অসঙ্গতি নিয়ে অভিযোগ জানান অভয়ার বাবা–মাও। মৃত তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘‌আমার মেয়েকে ধর্ষণ আর খুনের পিছনে রয়েছে অনেক বড় চক্রান্ত। বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতেই এই চক্রান্ত।’‌ এই অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসও। তাঁর বক্তব্য, ‘‌এটা তো বড় অসঙ্গতি। এটা কেমন করে হয়? এটার থেকে অনেক কিছু সামনে আসবে। এই অপরাধ যারা করেছে, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’‌