‘বাংলাদেশের পুলিশের থেকেও খারাপ অবস্থা হবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের’

রাজ্যে বিরোধীদের আন্দোলনের ওপর পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অবস্থা বাংলাদেশের পুলিশের থেকেও খারাপ হবে। এমনকী ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিতে বিধানসভায় প্রস্তাব আসতে চলেছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঘোষণা করেছেন তাকেও কটাক্ষ করেছেন সুকান্তবাবু।

আরও পড়ুন – ‘মুখোশ খসে পড়েছে, রাজ্যের মানুষ বুঝে গেছে, অপরাধজগতের মুখ হচ্ছে মমতা’

পড়তে থাকুন – ‘তৃণমূল নেতারা ফোঁস করলেই বাংলার মানুষ তেড়ে মেরে ডান্ডা, করে দেবে ঠান্ডা’

 

বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘গোখরো সাপের কথা বলেছেন আজ । ফোস করতে বলেছেন । লজ্জা করে না। আপনার গোটা হাত রক্তাক্ত। একুশের ভোটের পর এখনও পর্যন্ত ২০০ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করেছেন আপনি । ১২ হাজার লোককে ঘর ছাড়া করেছেন এই লোকসভা ভোটের পর। কোন ধারা দিতে বাকি রেখেছেন আমায় । কলকাতা পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বলতে চাই আপনাদের অবস্থা বাংলাদেশ পুলিশের চেয়েও খারাপ হবে । আপনি যে অত্যাচার করেছেন বাংলার উপর এর ফল পেতে হবে আপনাকে ।’

আরও পড়ুন – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করুন, কামদুনি মামলার কী হয়েছে? সেখানে তো সিবিআই নেই

ধর্ষণবিরোধী কড়া আইন প্রণয়নের প্রস্তাবকে কটাক্ষ করে সুকান্তবাবু বলেন, ‘BNS এর পর উনি আইন আনতে পারেন না। উনি আর জি কর ইস্যুকে ছোটো করে দেখছেন। সুপ্রিম কোর্ট বুঝে নেবে তদন্তকারীদের রিপোর্ট। উনি আর ওনার পরিষদ মন্ত্রীরা যেভাবে এই ঘটনাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে সেটা লজ্জার । যেভাবে লাশ দাহ করেছেন প্রমাণ লোপাট করেছেন সন্দীপ ঘোষ কে দিয়ে তার বিচার চাই। যে জনরোষ তৈরি হয়েছে সেটাই ভয় পেয়ে জনমতকে ঘুরিয়ে দিতে চান। আর বিধানসভার অধিবেশন কবে বসবে সেটা স্পিকার বলবে উনি কেনো । প্রস্তাব আকারে আনতে পারেন না। রাজ্যপালকে পাঠাতে হবে। রাজ্যপাল কখনো বেআইনি কাজ করতে পারেন না। হাসখালী থেকে পার্ক স্ট্রিট এর মন্তব্য কিভাবে ঢাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।’

বলে রাখি, বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিচালনা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সেদেশের একাধিক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সেদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। যার জেরে বেশ কয়েকজন পদস্থ পুলিশকর্তা গ্রেফতার হয়েছেন। অনেকে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। অনেকে ভারতে পালানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।