Bangladesh: ভারী বৃষ্টির ফলেই বন্যা, দাবি বাংলাদেশ জামায়াতের, ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের সওয়াল

মঙ্গলবারই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারপরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে বড় বিবৃতি দিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির তথা প্রধান ড. শফিকুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির জন্য বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন জামায়াতের প্রধান।

আরও পড়ুন: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গিয়ে বাংলাদেশি জঙ্গিদের হামলার মুখেও অটল BSF

ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইএমসিএবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেন এবং ইতিবাচক সম্পর্ক নিয়ে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী। প্রতিবেশীকে ইচ্ছা করে পরিবর্তন করা যায় না এবং এটি এমন একটি বিষয় যা আমরা কেউই অস্বীকার করতে পারি না।’ ডঃ শফিকুরকে ভারত-বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে 

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারত বা অন্য কোনও দেশের সমালোচনা করে না। জামায়াতে ইসলামী শান্তি ও গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে।’ প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে নিষিদ্ধ করেছিল। সে প্রসঙ্গে শফিকুর জানান, যে দলটি কখনও ধ্বংসাত্মক বা সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না। যদি তাদের কোনও সদস্য সন্ত্রাসে জড়িত বলে প্রমাণিত হয় তবে তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন।

বৈঠকে শফিকুর বিচার বিভাগের বর্তমান অবস্থা, কার্যকর নির্বাচন কমিশনের অভাব এবং জনগণের প্রতি পুলিশ বাহিনীর বিরূপ আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি দেশের সংবিধান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও, ধর্ম বা সংখ্যাগরিষ্ঠ মর্যাদা নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শফিকুর রহমান। প্রসঙ্গত, অভিযোগ উঠেছে ভারত থেকে জল ছাড়ার ফলে বাংলাদেশে এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এই বন্যার জন্য প্রাথমিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাতকে দায়ী করেছেন শফিকুর। একইসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন যে বাঁধ থেকে জল ছাড়ার বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত হলে প্রভাব কমিয়ে আনা যেতে পারে। তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধে দুদেশের মধ্যে পরামর্শ বিনিময়ের আহ্বান জানিয়েছেন।