Mamata Banerjee’s message to ‘outsiders’: ‘যারা বাইরে থেকে এসে বাংলায় থাকছেন…’, মমতার গলায় ‘রুখে দাঁড়ানো’র বার্তা

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব নিয়ে বেশ সরব হয়েছিলেন মতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আরজি কর কাণ্ডেও ফের একবার ‘বহিরাগত’ ইস্যু শোনা গেল মমতার গলায়। গতকাল তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্রপরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে আরজি কর কাণ্ড এবং বিজেপির বনধের বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই তিনি কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘বাংলায় যারা বাইরে থেকে এসে থাকছেন, বাংলাকে ভালোবেসে থাকুন। বাংলা আপন করে নেবে। বাংলার ওপর অত্যাচার করবেন না, বাংলা তাহলে রুখে দাঁড়াবে।’ (আরও পড়ুন: ‘RG কর কাণ্ডের তদন্তে উঠে এসেছে কিছু প্রভাবশালীর নাম’, সত্যি প্রমাণ লোপাট হয়েছে?)

আরও পড়ুন: ‘যদি চালাতে না পারেন আমি নিয়ে নেব…’, নবান্নের বৈঠকে মমতার ‘ধমক’ মন্ত্রীকে

আরও পড়ুন: যেমন কথা, তেমন কাজ, আরজি কর কাণ্ডের আবহে ৩ সেপ্টেম্বরই বড় পদক্ষেপের পথে মমতা

এদিকে গতকাল কেন্দ্রের মোদী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মমতা। বলেছিলেন, ‘কেউ-কেউ মনে করছেন, এটা বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংস্কৃতি, আমাদের সংস্কৃতি এক। কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র। ভাবতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। মোদীবাবু, আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন? মনে রাখবেন, বাংলায় যদি আগুন লাগান, অসমও থেমে থাকবে না। উত্তর-পূর্বও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না। বিহারও থেমে থাকবে না। ঝাড়খণ্ডও থেমে থাকবে না। ওড়িশাও থেমে থাকবে না। আর দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা আমরা টলমল করে দেব।’ (আরও পড়ুন: ‘সাহস কী করে হল দিদি?’, মমতার ‘আগুন’ হুঁশিয়ারির জবাবে চাঁচাছোলা যোগী-বীরেনরা)

আরও পড়ুন: মমতার ‘ধর্ষণ বিরোধী’ বিলের বিরোধিতায় শুভেন্দু? ‘পরামর্শ’ বিধনসভা অভিযানের

এদিকে গতকাল আরজি কর ইস্যু নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। চিকিৎসকদের কাজে ফেরার ‘অনুরোধ’ করে ‘প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি’ দেন ‘মানবিক মমতা’। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা কিন্তু ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিইনি। কারণ, ওরা বন্ধুর জন্য আন্দোলন করছে। দিল্লিতে কিন্তু ওরা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে দিয়েছিল। যে কারণে সুপ্রিম কোর্টকে বলে দিতে হয়েছে, ডাক্তারেরা কাজে ফিরলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি আমার সমর্থন আছে। কিন্তু আপনাদের একটু মানবিক হওয়ারও আবেদন করব। সুপ্রিম কোর্টও আপনাদের অনুরোধ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলোকে ক্ষমতা দিয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেব না। আপনাদের ক্ষোভ আছে। অভিমান আছে। আমি সেটা বুঝি। কিন্তু এ বার আস্তে আস্তে কাজে যোগদান করুন। আমরা চাই না, কারও সারা জীবনটা নষ্ট হোক। আমরা যদি এফআইআর করি বা কোনও আইনি ব্যবস্থা নিই, তা হলে আপনাদের কেরিয়ারটা নষ্ট হয়ে যাবে। ভিসা, পাসপোর্টে অসুবিধা হয়ে যাবে। আমি তা চাই না। আমাদের সরকার মানবিক। আমি চাই আরও ভালো ভালো ডাক্তার তৈরি করতে।’