অভিবাসন ও ইসরায়েল ইস্যুতে নিজের অবস্থান জানালেন হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে কঠোর অভিবাসী নীতি প্রণয়নের অঙ্গীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পদপ্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এছাড়া ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতেও তিনি আগ্রহী নন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন তিনি। বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সঞ্চালক ডানা ব্যাশের সঙ্গে এই সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেছেন, দৃঢ়ভাবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি একটি নতুন পরিপূর্ণ সীমান্ত আইন প্রণয়নের পদক্ষেপ নিবেন। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সামলানোর জন্য আমাদের আইন আছে। এগুলোর অনুসরণ ও প্রয়োগ করতে হবে।’

৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে বাইডেন নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পর ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন হ্যারিস। এরপর হতে এটিই কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রচারমাধ্যমে তার দেওয়া প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার।

প্রার্থীতা পাওয়ার পর থেকেই জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এছাড়া প্রচারণার জন্য কোটি কোটি ডলার অনুদান পাচ্ছেন।  জনসমাগমে বক্তৃতা দিলেও সাক্ষাৎকার না দেওয়ায় সমালোচকদের মন্তব্য ছিল, তিনি তাৎক্ষণিক প্রশ্নোত্তরে তেমন দক্ষ নন। যদিও গতকাল  তাকে কোনও ভুল করতে দেখা যায় নি।

সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমর্থনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন হ্যারিস। এছাড়া ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিতে অনেকের আপত্তি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার্থে শক্তিবৃদ্ধির প্রতি তার সমর্থন রয়েছে। তবে তিনি গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি চুক্তির প্রতিও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ চুক্তি অবশ্যই চূড়ান্ত করতে হবে।’

সাক্ষাৎকারে হ্যারিসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার রানিং মেট মিনেসোটা গভর্নর টিম ওয়াল্টজ। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, তার সম্ভাব্য ক্যাবিনেটে রিপাবলিকাদের যুক্ত হতে বাঁধা নেই। এ সম্পর্কে হ্যারিস বলেছেন, মতামতের বৈচিত্রকে তিনি সম্মান করেন।