Adivasi girl rape: কাজ শেখানোর নামে বাড়িতে ডেকে আদিবাসী স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধৃত হাতুড়ে ডাক্তার

আরজি কর কাণ্ডের আবহেই রাজ্যে ফের ধর্ষণের অভিযোগ। এবার এক আদিবাসী নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হবিবপুর থানা এলাকায় ঘটেছে। এরপরই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ডাক্তারের কড়া শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন: ‘হাড়হিম করা কল রের্কডিং…,আর জি করের চিকিৎসক মৃত্যু নিয়ে চুপ CBI’, সৃজিত বললেন..

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, মেডিক্যাল টেস্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হাতুড়ে ডাক্তার। নির্যাতিতার বাবা জানান, ওই ডাক্তার বাড়িতে ফোন করে তার মেয়েকে ডেকেছিল। বলেছিল তাকে কাজ শেখাবে। তাই কাজ শেখার উদ্দেশ্যে তার মেয়ে ডাক্তারের বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু, বাড়িতে যাওয়ার পর সে দেখে কোনও রোগী বা অন্য কেউ ডাক্তারদের বাড়িতে ছিল না, সে একাই ছিল। এরপর ডাক্তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপরেই নাবালিকা মেয়েটিকে একে একে পোশাক খুলতে বলে। ঘটনায় ডাক্তারের কর্মকাণ্ডের সন্দেহ হয় নাবালিকার। তখন সে চিৎকার চেঁচামেচি করে। কিন্তু, আশেপাশে কেউ না থাকায় মেয়েটির চিৎকারে কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। সেই সময় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

এদিকে, মেয়ে দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় নির্যাতিতার বাবা অন্য এক মেয়েকে ডাক্তারের কাছে খোঁজ নেওয়ার জন্য পাঠান। কিন্তু, সেই মেয়ে ডাক্তারের বাড়িতে গিয়ে দেখে তার দিদি ডাক্তারের ঘর নেই। ডাক্তার তখন তাকে জানাই যে তার দিদি সেখানে আসেনি। অভিযোগ, ধর্ষণের পর বাথরুমের ভিতরে নির্যাতিতাকে দরজা বন্ধ করে আটকে রেখেছিল ওই ডাক্তার। তবে কোনওভাবে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল নির্যাতিতা।

এরপর বাড়িতে ফিরে সে যন্ত্রণায় ছটফট করার পাশাপাশি কান্নাকাটি শুরু করলে তার কাছে কারণ জানতে চান তার বাবা-মা। তখন নাবালিকা ডাক্তারের পাশবিক আচরণের কথা বাবা মাকে জানায়। সেই ঘটনার পরেই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান নির্যাতিতার বাবা-মা। এদিকে, এই ঘটনার খরব ছড়িয়ে পড়তেই তাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ডাক্তারের শাস্তির দাবিতে আদিবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আমরা চাই অভিযুক্তের যোগ্য শাস্তি হোক। শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত যাতে কোনওভাবেই জেল থেকে ছাড়া না পায়।’