Amit Malviya: মমতা মিথ্যাবাদী…মোদীকে দিদি চিঠি লিখতেই ফ্রন্টফুটে মালব্য, ফাস্টট্র্যাক কোর্ট নিয়ে প্রশ্ন

ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন চেয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির সমাজ মাধ্যমে শেয়ারও করেছেন তিনি। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২২ অগস্ট এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা প্রথম চিঠির কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত তিনি পাননি।’ এবার এনিয়ে পালটা মমতাকে আক্রমণ করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

আরও পড়ুন: আগেরবার আপনি উত্তর দিলেন না তো! ধর্ষণ-বিরোধী আইন চেয়ে মোদীকে ফের চিঠি হতাশ মমতার

এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে অমিত মালব্য লিখেছেন, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে গত ২৫ অগস্ট মমতার চিঠির জবাব দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তার প্রতিলিপি কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকে পাঠিয়েছিলেন। সেই জবাব পেয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দ্বিতীয়বার মোদীকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। তবে বাংলায় ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল মামলার বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট (এফটিএসসি) স্থাপন হয়নি বলেই পালটা দাবি করেছেন অমিত মালব্য। তিনি অন্নপূর্ণা দেবীর চিঠির কথা মনে করিয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, মন্ত্রী তাঁর জবাবী চিঠির ৪ নং প্যারায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ধর্ষণের সমাধানের জন্য, এমনকী একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টও স্থাপন করেনি। যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষার (পকসো) দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ আদালত ও ফাস্ট ট্র্যাক আদালত চালু করার প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। যাতে কেন্দ্রের ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য ৪০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করে থাকে।

পরিসংখ্যান দিয়ে অমিত বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪০৯ টি পকসো আদালত এবং ৭৫২ টি ফাস্ট ট্রাক আদালত গঠন করা হয়েছে। সেগুলি খুব ভালোভাবে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত এই সমস্ত আদালতগুলিতে আড়াই লক্ষের বেশি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে।

তবে এই প্রকল্পের অধীনে বাংলাকে মোট ১২৪টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট বরাদ্দ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২০টি পকসো আদালত এবং ১০৪টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট রয়েছে। তবে ২০২৩ সালের জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই আদালতগুলির কোনওটিই চালু হয়নি বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গ এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৭টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। তার অধীনে, পশ্চিমবঙ্গকে ১৭টি ফাস্ট ট্রাক কোর্ট বরাদ্দ করা হয়। যার মধ্যে শুধুমাত্র ৬টি একচেটিয়া পকসো আদালত চালু করা হয়েছে বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ হাজারের বেশি ধর্ষণ এবং পকসো মামলা ঝুলে থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার বাকি ১১টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করার জন্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। অমিত লিখেছেন, ’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা করা উচিত যে কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার নারী ও মেয়েদের সুরক্ষার জন্য কঠোর নিয়ম ও আইন বাস্তবায়নের জন্য কিছু করেনি। চিঠি লেখা বন্ধ করুন। প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। আপনি দায়বদ্ধ।’