Bangladesh: গুলশন হামলার স্মারক ভাঙা হল, নতুন বাংলাদেশে জঙ্গি পোস্টার

বাংলাদেশে এখন নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শেখ হাসিনা কার্যত পালিয়ে গিয়েছেন দেশ থেকে। তার মধ্য়েই এবার গুলশন হামলার স্মারক গুড়িয়ে দেওয়া হল। এখানেই শেষ নয়। সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের তিনটি পোস্টার সাঁটা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

এদিকে ২০১৬ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছিল। গুলশনের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা হয়েছিল। জঙ্গিদের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন বিদেশীরা। সেখানে পরবর্তীতৈ তৈরি হয়েছিল স্মারক। আর সেই স্মারকই ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্মারক বেদি থেকে উপড়ে ফেলা হয়েছে ফলক। আর সেখানে পোস্টারে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবি তোলা হয়েছে। 

এদিকে গুলশন ২এর সেই বেকারিতে অতীতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ১৭জন বিদেশি সহ সব মিলিয়ে ২০জনকে হত্যা করেছিল তারা। গুলি করেছিল, নৃশংসভাবে গলা কেটেছিল তারা। ভোররাতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল সমস্ত জঙ্গিদের নিকেশ করতে তারা সমর্থ হয়েছিল। গোটা বিশ্বজুড়ে এই হামলার নিন্দা করা হয়েছিল। এভাবে বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশিদের হত্যাকাণ্ড কার্যত নাড়িয়ে দেয় গোটা আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে। 

এরপর ২০১৮ সালে হোলি আর্টিজান বেকারির সামনে একটা ভাস্কর্য বসানো হয়। সেই ভাস্কর্যের নাম রাখা হয়েছে দীপ্ত শপথ। সেখানে দুই পুলিশ অফিসারের ভাস্কর্য বসানো হয়েছিল। আর সেই ভাস্কর্যকেই ভেঙে ফেলা হল নতুন বাংলাদেশে। এখানেই প্রশ্ন কারা করল এই কাজ? 

তবে কি নতুন বাংলাদেশে নতুন করে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে? ফের কি নতুন বিপদের ইঙ্গিত বাংলাদেশে? সেই সঙ্গেই হিজবুত তাহরির মতো সংগঠনের পোস্টারকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তবে ইদানিং তাদের কিছু গতিবিধির কথা সামনে আসছিল। এদিকে এর আগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা জসিমুদ্দিন রহমানিকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 

এসবের মধ্য়েই বাংলাদেশের ভেঙে ফেলা হল গুলসন হত্যার স্মারককে। এটা উদ্বেগের। এত বড় স্মারক একজনের পক্ষে ভাঙা সম্ভব নয়। তবে কি নতুন চক্রান্ত? 

এতদিন নানা ধরনের স্মারককে ভেঙে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশে। তবে এবার একেবারে গুলশন হত্যার স্মারককে ভেঙে ফেলা হল বাংলাদেশে। কিন্তু এবার প্রশ্ন গুলশন হত্যার স্মারককে ভেঙে ফেলার পেছনে ঠিক কী যুক্তি রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।