BJP Mohila Morcha: মহিলা কমিশন নাকি তৃণমূলের পার্টি অফিস? আরজিকর নিয়ে চুপ! তুমুল বিক্ষোভ বিজেপির

সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের অফিসে তালা দেওয়ার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল। বিজেপির মহিলা মোর্চার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। সল্টলেকের মহিলা মোর্চার উদ্যোগে রাজ্য মহিলা কমিশনের অফিসে তালা দেওয়ার কর্মসূচি। বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনি পাত্র, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়, দেবশ্রী চৌধুরী, অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিক বিজেপি নেত্রী এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। 

শুক্রবার মিছিলটি সিটি সেন্টার মোড়ের কাছে আসতেই পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। তাঁরা সেখানেই বসে পড়েন। এরপর পুলিশ কয়েকজন বিজেপি নেত্রীকে ভেতরে যেতে দেন। এরপর তাঁরা গিয়ে মহিলা কমিশনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। 

দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, আমরা তালা লাগাতে গিয়েছিলাম। পরে পুলিশ আমাদের যেতে দেয়। পরে মহিলা কমিশন আমাদের অনেক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জানিয়েছে তারা কী করেছেন। আমরা শুধু দেখে এলাম ওরা বেঁচে আছেন কি না। উনি বললেন কাগজ আমাদের রেডি আছে। এতদিন হয়ে গেল। মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও উচ্চবাচ্য করা হল না। 

লকেট চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, এতদিন ধরে ওদের আওয়াজ কেউ শোনেনি। মহিলা কমিশনের কাজ কী হয়েছে তা জানি। তাদের উচিত ছিল ন্যাশানাল কমিশনকে ডাকা। একের পর এক প্রমাণ লোপাট হল। কেন ডাকা হল না? তার মানে এটা মহিলা কমিশন নয়, এটা তৃণমূলের মহিলাদের পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে। কেন মহিলা কমিশন এসি ঘরে বসে রয়েছে। চারতলায় বসে রয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ করছে না। মহিলা কমিশনের মুখেই তো তালা।

বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আমি প্রতীকী তালা নিয়ে যেতে চাইছি। কিন্তু আমায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন আমায় আটকানো হচ্ছে সেটাই বুঝতে পারছি না। এদিন প্রবল বৃষ্টির মধ্যে তারা আন্দোলনে নামে। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শেষ পর্যন্ত দফতরে তালা লাগানোর কর্মসূচি পালন করা হয়নি। পুরোটাই ছিল প্রতীকী। তবে তারা রাজ্য মহিলা কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। 

এদিকে এবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনেও আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তোলা হয়। তারপর কলকাতা পুরসভার অধিবেশন ওয়াকআউট করলেন বিজেপি কাউন্সিলররা। পালটা বিজেপিকে তোপ দেগেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

অধিবেশন শুরু হতেই ‘আরজি করের বিচার চাই’ স্লোগান তোলেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। অধিবেশন কক্ষের বাইরে সজল ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সরকার এত নির্লজ্জ, একজন কর্তব্যরত চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব পাঠ করতে এঁরা রাজি নন। এটা কলকাতা পুরসভার ইতিহাসে লজ্জা। আমরা বলেছিলাম, আজ অধিবেশন মুলতুবি করুন। সারা কলকাতার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। সভা আজ মুলতুবি হোক। অন্যদিন এই সভা হোক। কিন্তু তাতে তৃণমূল কংগ্রেস রাজি নয়।’‌