RG Kar Doctor Murder: নবান্ন অভিযান আর বিজেপির বনধে কলকাতায় ক্ষতি ২০০০ কোটির, ইস্যু পেয়ে গেল তৃণমূল

একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে’ বিজেপির জন্য কলকাতার ২০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ বিজেপির তৈরি করা হিংসার জেরে মারাত্মকভাবে ভুগেছেন।সাধারণ মানুষকে জোর করে দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের সম্পত্তিতে ভাঙচুর করা হয়েছে।

‘বিজেপি কি তাদের পকেট থেকে এই ক্ষতি পূরণ করবে?’

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেছে তৃণমূল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরের মঙ্গলবার ও বুধবার প্রায় ২,০০০ কোটির ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় হিংসা ও মস্তানির জেরে বিপুল ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়।

সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলায় বার্ষিক গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট ১৭.১ কোটি টাকার। কলকাতায় গোটা রাজ্যের মধ্য়ে প্রায় ৪০ শতাংশ অর্থনৈতিক লেনদেন হয়। জুয়েলারি, হোটেল, রেস্তরাঁ, পরিবহণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই আর্থিক লেনদেন বিষয়টি জড়িত। কিন্তু ছাত্র আন্দোলন ও বিজেপির ডাকা বনধের জেরে এই ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে ব্যবসায়ীদের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে দুই দিনে প্রায় ৫০ শতাংশ ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে। দুই দিনের ক্ষতি মিলিয়ে এটা প্রায় ২,০০০ কোটি হতে পারে।

মঙ্গলবার ছাত্র সমাজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। কোনও রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়াই এই অভিযান। দলে দলে লোকজন এতে শামিল হয়েছিলেন। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় কলকাতা ও হাওড়ার একাংশ। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করেছিল। জলকামান দিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরের আশঙ্কায় দোকান পাট বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে তারপরের দিন ছিল বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ। বিভিন্ন জায়গায় কার্যত জোর করে দোকান বন্ধ রাখা হয়। রাস্তায় গাড়ি কম চলে। সব মিলিয়ে ফের স্তব্ধ হয়ে যায় বাংলা। এদিকে সামনেই পুজো। তবে পুজোর বাজার এখনও জমেনি। কিন্তু তার আগে বনধ ও আন্দোলনের জেরে সমস্যায় পড়েন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এদিকে জেলা থেকে প্রচুর মানুষ কেনাকাটার করার জন্য কলকাতায় আসেন। রোজই তাঁরা ব্যবসার প্রয়োজনে কলকাতায় আসেন। কিন্তু বনধ ও ছাত্র আন্দোলনের জেরে ব্যবসার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতি হয়েছে। আর এই ইস্যুটাই সামনে আনতে চাইছে তৃণমূল। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিরোধী থাকাকালীনও কিন্তু এই তৃণমূলই বার বার বনধের ডাক দিত।