Suvendu Adhikari: লড়াই চালিয়ে যাও! ‘অরাজনৈতিক’ সায়নের মুক্তির নির্দেশে উল্লসিত শুভেন্দু

নবান্ন অভিযানের অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে উল্লসিত শুভেন্দু অধিকারী। সায়ন নিজেকে বার বার অরাজনৈতিক বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে তাঁর মুক্তির নির্দেশের খবরে কার্যত উচ্ছসিত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এগিয়ে চলো। তরুণী ও তরুণদের হাতেই পরিত্রাণ পাবে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে অন্যায় অবিচার অরাজকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেই গারদের ভেতরে ভরে দিচ্ছে সরকার। লড়াই চালিয়ে যাও। আওয়াজ ওঠাও। পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।

কাল (শনিবার) দুপুরের মধ্য়ে সায়নকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই সায়নের ছবির সঙ্গে কবিতা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তিনি লিখেছেন চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর…

তার আগেই শুভেন্দু লিখেছিলেন, সম্মানীয় আদালতের হস্তক্ষেপে রাজ্যের যুবকদের প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। আমি সায়ন লাহিড়ির মুক্তির নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। অবৈধভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই সময়টাকে যুবকদের জয় বলে পালিত করা হোক।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শো করে ফেরার পথে সায়নকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সায়নকে মুক্তির নির্দেশ।

শুক্রবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-র আহ্বায়ককে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুধু তাই নয়, তাঁকে কতক্ষণের মধ্যে ছাড়তে হবে, সেটার ‘ডেডলাইন’-ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে শনিবার দুপুর দুটোর মধ্যে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-র আহ্বায়ককে ছেড়ে দিতে হবে। সেইসঙ্গে কোনও মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। সেইসঙ্গে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, নবান্ন অভিযানের কর্মসূচিতে পুলিশের অনুমতি ছিল না। আর শান্তিপূর্ণভাবে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়নি। সেইসঙ্গে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয় যে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন সায়ন।

এদিকে সায়ন প্রভাবশালী কি না সেই প্রশ্নও উঠছে।

হাইকোর্ট প্রশ্ন করে যে সায়ন কি প্রভাবশালী নাকি? রাজ্য সরকার এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে পারেনি, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে নবান্ন অভিযানের অশান্তির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন সায়ন। সেইসঙ্গে বিচারপতি সিনহা বলেন যে আর রাজনৈতিক নেতারাও প্ররোচনামূলক ভাষণ দিয়ে থাকেন। সেইসব রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও কেন পদক্ষেপ করা হয় না, তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। সেই পরিস্থিতিতে রায়দান স্থগিত রাখেন তিনি। পরে সায়নের মুক্তির নির্দেশ দেন।