‘‌উনি যা বলেছেন তা অত্যন্ত পরিণত মস্তিষ্কেরই কথা’‌, মমতার মন্তব্যে সমর্থন শত্রুঘ্নর

রাজ্য–রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বেশি চর্চিত বিষয় আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ড। এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। মাঝে কেটে গিয়েছে ১৭ দিন। এই কদিনে তদন্তে নানা বাঁক এসেছে। এই আবহে বাংলায় আগুন জ্বালালে অসম, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং দিল্লিতেও আগুন জ্বলবে বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই হুঁশিয়ারি নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়। এবার তৃণমূল সুপ্রিমোর পাশে দাঁড়ালেন প্রবীণ অভিনেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। শত্রুঘ্নর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা অত্যন্ত পরিণত কথা।

আজ, শনিবারও দেখা গেল, এই ইস্যুতে এখনও প্রতিবাদ–আন্দোলন চলছে। বিরোধী দলগুলি মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছেন। এই আবহে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘‌পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ করার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি। সেখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলার সংস্কৃতির মিল আছে। যারা ভাবছে বাংলাদেশের মতো এই রাজ্যকে অশান্ত করবে, তারা ভুল করছে। এমন করা হলে সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর আসন ধরে টানাটানি করবে। তখন আসন টলমল করবে। বুঝতে পারবেন।’‌

আরও পড়ুন:‌ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপাচার্য, তৃতীয় ভারপ্রাপ্ত কে?

চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা শনিবার সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘‌আমি যতদূর আমার দিদিকে চিনি, উনি যা বলেছেন তা অত্যন্ত পরিণত মস্তিষ্কেরই কথা। উনি বোঝাতে চেয়েছেন, যদি ওরা কলকাতার ঘটনা নিয়ে মানুষকে উসকানি দেয় তাহলে তার প্রভাব শুধু পশ্চিমবঙ্গের ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। কারণ, কলকাতার ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিচার চলছে। তদন্ত করছে সিবিআই।’‌

এছাড়া আরজি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদ সারা রাজ্যজুড়েই চলছে। সবস্তরের সব পেশার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় এখন রাজ্যের শাসকদল। প্রতিবাদে রাতে পথে নেমেছেন বাংলার মহিলারা। পাল্টা পথে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন আনতে দু’‌বার চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। শীঘ্রই বিধানসভায় বিল পাশ করানো হবে। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূলনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সমর্থন করলেন সাংসদ।