জামা নয়, আরজি কর কাণ্ডের পর দুর্গাপুজোর জন্য পেপার স্প্রে কেনার বিধান ইনফ্লুয়েন্সারের! কী বলছে নেটপাড়া?

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক চিকিৎসককে নৃশংসভাবে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় শহর তথা গোটা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ন্যক্কারজনক এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কিছু লোক ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার বিষয়টি তুলে ধরে পোস্ট শেয়ার করতে এবং সুরক্ষা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেমেছে। তাদের মধ্যে এই সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সর (thevoguishaffair) দুঃখের সাথে একটি ভিডিয়ো বানিয়েছেন, যেখানে আসন্ন উৎসব দুর্গাপূজার জন্য মহিলাদের তাদের কেনাকাটার তালিকায় নির্দিষ্ট কিছু সেফটি আইটেম অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়। তাঁর পরামর্শের মধ্যে রয়েছে পিপার স্প্রে, একটি অ্যালার্ম কীচেইন এবং একটি মিনি নাইফ। 

আরও পড়ুন: (বর্ষা আসতেই গোছা গোছা চুল উঠছে? এই ঘরোয়া টিপ্সগুলি একবার মেনেই দেখুন, কাজে আসবেই)

তিনি বলেন, ‘ভাবিনি কলকাতায় থাকাকালীন মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে আমাকে ভিডিয়ো বানাতে হবে!! এ ধরনের ব্যবস্থায় আমাদের নিরাপত্তা এতটাই দুর্বল ও বিপন্ন যে নারীদের নিজেদের যত্ন নিতে হবে, কর্মক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদের ব্যাগে সব সময় নিরাপত্তা আত্মরক্ষার সরঞ্জাম বহন করতে হবে।’

ভাইরাল ভিডিওটি দেখুন এখানে:

৭.৬ লক্ষেরও বেশি ভিউ সহ তার ভিডিওটি প্রায় ৭৪০০০ লাইক সংগ্রহ করেছে। শেয়ারটিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লোকেরা বিভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করেছে।

কী বলছেন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা?

একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন‘তবুও পাঁচজন লোক আপনাকে আক্রমণ করলে আপনি আত্মরক্ষা করতে পারবেন না। এটি মনস্তত্ত্ব এবং মানসিকতা যার উপর ভিত্তি করে উভয় লিঙ্গকে শিক্ষা প্রদান করা উচিত!’। ‘ আরেকজন লেখেন, ‘দিদি, এটা খুবই দুঃখজনক, কিন্তু প্রত্যেক বাঙালি মহিলার মনে এই মুহূর্তে এই একটি জিনিস রয়েছে। কলকাতা আর মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়।’

তৃতীয়জন মন্তব্য করেছেন, ‘কলকাতার ঘটনার পর অপরিচিত একজনের সঙ্গে মিলিসেকেন্ড চোখের স্পর্শও আমার মনে উত্তেজনা তৈরি করে।’

‘ চতুর্থ ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এটাই দুঃখজনক বাস্তবতা।’

তবে কেউ কেউ তার সমালোচনা করে দাবি করেছেন, তিনি একজন ‘সুবিধাবাদী’ যিনি একটি ভয়ঙ্কর ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে পণ্য বিক্রি করছেন। 

আরও পড়ুন: (অদিতি থেকে ইশা, একাধিক তারকা নজর কেড়েছেন বাঁধনী পোশাকে, হঠাৎ এই প্রিন্ট এত ট্রেন্ডি হয়ে উঠল কেন?)

প্রসঙ্গত, ৯ অগস্ট ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে খুন হওয়া জুনিয়র ডাক্তারের বাবা-মা ঘটনার রাতে হাসপাতালের এক কর্মীর কাছ থেকে তিনটি ফোন পেয়েছিলেন। সিবিআইয়ের তরফে সঞ্জয় রায়ের মনস্তাত্ত্বিক প্রোফাইল থেকে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় রায় একজন ‘বিকৃতমনস্ক এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত’ ছিলেন।