Doctor’s safety during night shift: রাতে ভয়ে-ভয়ে থাকেন ৩৫% চিকিৎসকই, কেউ-কেউ অস্ত্র রাখার কথাও ভেবেছেন- সমীক্ষা

কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা কি সুরক্ষিত নন? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরে এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই তরুণী চিকিৎসক নাইট ডিউটিতেই ছিলেন। সেই আবহে নাইট ডিউটিতে চিকিৎসকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। দেশের ২২টি রাজ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। মোট ৩,৮৮৫ জনের উপরে সমীক্ষা চালানো হয়েছে. তাঁদের মধ্যে ৮৫ শতাংশেরই বয়স ৩৫-র নীচে। আর ৬১ শতাংশ হলেন ইন্টার্ন বা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি।

(আরও পড়ুন: বর্ষায় তুলসী গাছের যত্ন নিয়ে টেনশন? দেখে নিন খুব সহ কিছু টিপস)

IMA অর্থাৎ ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক এই সমীক্ষায় যে চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের বেশি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাতের শিফটে তাঁরা সুরক্ষিত বোধ করেন না। ওই চিকিৎসকদের অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। এমনকী কারও কারও তো মনে হয়েছে যে রাতের ডিউটির সময় নিজের সঙ্গে অস্ত্র রাখলে ভালো হয়।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের ৪৫ শতাংশ জানিয়েছেন যে রাতের ডিউটিতে কোনও ডিউটি রুম থাকে না। ডিউটি রুম থাকলে বেশি সুরক্ষিত বোধ করেন। আবার ডিউটি রুম থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তাতে ঠাসাঠাসি করে থাকতে হয়। গোপনীয়তা থাকে না। লক থাকে না। তার জেরে বাধ্য হয়ে বিশ্রামের জন্য অন্যত্র যেতে হয়। আর যে ডিউটি রুম থাকে, তার ৬৬ শতাংশ ক্ষেত্রেই অ্যাটাচড বাথরুম থাকে না।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের ২৪.১% জানিয়েছেন, রাতের শিফটে অসুরক্ষিত বোধ করেন। ১১.৪ শতাংশ চিকিৎসক অত্যন্ত অসুরক্ষিত বোধ করেন। মূলত ২০-৩০ বছরের চিকিৎসকরা সবথেকে বেশি অসুরক্ষিত বোধ করেন। এই বয়সের মধ্যে মূলত ইন্টার্ন বা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিরাই থাকেন।

সমীক্ষা অনুযায়ী, এক মহিলা চিকিৎসক জানিয়েছেন, ব্যাগে ছুরি ও পেপার স্প্রে রাখেন। কারণ ডিউটি রুম অনেকটা দূরে অবস্থিত। সেখানে যেতে গেলে নির্জন এবং অন্ধকার করিডর পেরিয়ে যেতে হয়। 

(আরও পড়ুন: ভালো ঘুমের জন্য কলা খান রোজ রাতে? আদৌ কতটা উপকার হয় জানেন?)

ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, ক্যাজুয়াটিলি ওয়ার্ডে ডিউটিতে থাকা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে মদ খেয়ে বা মাদকের নেশা করে থাকা লোকজন তাঁদের হুমকি দেন। মৌখিক হুমকি তো আছেই। শারীরিক হেনস্থাও করা হয়। অপর এক মহিলা চিকিৎসক জানিয়েছেন যে জরুরি বিভাগের ভিড়ের হামেশাই নোংরাভাবে স্পর্শ অনুভব করতে হয়।