Kolkata Police Daughter Viral Post: ‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো…’ পোস্ট করতে ‘বাধ্য’ কর্তারা, কে দিচ্ছেন নির্দেশ?

সাম্প্রতিক সময়ে আরজি কর কাণ্ডের আবহে প্রতিবাদীদের গলায় শোনা গিয়েছে একাধিক স্লোগান। তার মধ্যে একটি স্লোগান পুলিশকর্মীদের মেয়েদের নিয়ে। সেখানে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে, ‘তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়’। আর সেই স্লোগানের পরিবর্তে এবার পুলিশকর্মী এবং তৃণমূল সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পালটা স্লোগান দিতে শুরু করেছেন। তাতে বলা হচ্ছে – ‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়।’ পুলিশের বড়, মেঝো কর্তা থেকে শুরু করে সর্বস্তরেই এই পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে। তা নিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। (আরও পড়ুন: পড়েন ভুটানের স্কুলেও, TCS-এ চাকরি করে UPSC পাশ ২০১৩-তে, জানুন DC ইন্দিরার বিশদ)

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদীদের ব্যারিকেডে ধাক্কা পুলিশের বাইকে থাকা মত্ত সিভিকের! অবরোধ বিটি রোডে

গতকাল বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সিঙ্গুর খ্যাত ২০০৬-এর ২৫ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর বিডিও অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে পেটাতে পেটাতে চ্যাঙদোলা করে তুলে এনেছিলেন যিনি, সিপিএমের সেই ব্লু আইড্ বয় সুপ্রতীম সরকার এখন এই বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কাল আমি ১৫-২০জন আইসি, ওসি-র কাছ থেকে প্রথম খবর পাই, তাঁরা আমাকে কনফিডেনশিয়াল ফোন করে পাঠান, ‘স্যর ক্ষমা করে দেবেন, করতে বাধ্য হচ্ছি। সুপ্রতীম সরকারের নির্দেশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ওপর নির্ভর করেই আছেন। যে সমস্ত আইপিএস-রা নিজের ভালো পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করেন, নিজেদের ছেলেমেয়েদের ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন, আরামে থাকছেন, নিজেদের বিলাসবহুল লাইফ স্টাইল লিড করছেন, পুলিশের সেই এক শ্রেণির অফিসাররা নীচু তলার কর্মীদের বাধ্য করছেন এই ধরনের পোস্ট করতে।’

এদিকে পুলিশ বাহিনীর বেহাল দশা নিয়েও মমতা সরকারকে গতকাল তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘পুলিশ তো এখন সংখ্যায় কমে গিয়েছে। কারণ নিয়োগ হয় না। ভবিষ্যতেও হবে না। কারণ ওবিসি নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও নবান্ন অভিযানের তীব্রতার পর একটা বিষয় লক্ষ্য করবেন। সিভিক ভলান্টিয়রদের অবসরের পর বেনিফিট ৫ লক্ষ টাকা করে অর্ডারে বলা হয়েছে। আবার ২৮ তারিখে ৩০১ জন সাব ইন্সপেক্টরকে আইসি অর্থাৎ ইন্সপেক্টরের পদে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে পুলিশের নীচের তলাকে ম্যানেজ করতে চাইছেন।’