মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীর মৃত্যু, চিকিৎসককে হেনস্তা

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল আরোহী আহসানুল ইসলাম দীপ্ত (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি বিইউবিটি ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দর থেকে মিরপুরের বাসার ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ তাকে সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করান।

শনিবার সকালে তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ তোলে তার পরিবার ও বন্ধুরা। পরে চিকিৎসককে ধরে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে ধরে নিয়ে যায়।

নিহতের বন্ধু হাসিন আরমান আবিদ বলেন, চিকিৎসকের অবহেলায় বন্ধু দীপ্ত মারা গেছে। আমরা চিকিৎসকের বিচার চাই।

এদিকে ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আগষ্টিন মিল্টন কস্তা বলেন, শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থী দীপ্ত সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে ঢামেকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তে ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত দীপ্তর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার পশ্চিমপাড়ায়। তার বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। বর্তমানে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনে চাইনিজের পাশের এলাকার একটি মেসে থাকতেন।

শিক্ষার্থী দীপ্তর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু শিক্ষার্থী এক চিকিৎসককে ধরে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে নিয়ে যায়। এ নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক আসেন। হাসপাতাল কনফারেন্স কক্ষে বিইউবিটি ভিসি, হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈঠক হয়। এ নিয়ে পুরো হাসপাতালে চিকিৎসকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।