ভারত–চিন যুদ্ধের সময়কার বোমা উদ্ধার অসমে, নিরাপদে ফাটিয়ে ফেলা হয়েছে সেনার নেতৃত্বে

সালটা ১৯৬২। ভারত–চিন যুদ্ধ হয়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে দশকের পর দশক। আবার সেই সময়টা আজ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল। কারণ একটি মর্টার স্মোক বোম উদ্ধার হয়েছে। যা কিনা ভারত–চিন যুদ্ধের সময় বলে মনে করছে পুলিশ। অসমের শনীরপুর জেলার নদী বক্ষে এই বোমা উদ্ধার হয়েছে। অসম পুলিশ এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। তার পর থেকেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে অসমের এই এলাকায়। আবার অনেকে তা দেখতে ভিড় করেন।

এদিকে এই বোমা উদ্ধার হওয়ার পর খবর দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। ডেকিয়াজুলি এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার হয়। তারপর সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে পুলিশ তা বিস্ফোরণ ঘটায়। এত দশকের পর কেমন করে ওই মর্টার স্মোক বোমা উদ্ধার হল?‌ এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। শনীতপুর জেলার পুলিশ সুপার বরুণ পুরকায়স্থ বলেন, ‘‌দু–ইঞ্চির লম্বা বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ওখানে একজন ব্যক্তি যৌগাপুর গ্রাম থেকে এসেছিলেন মাছ ধরতে। সেসা নদীর কাছে ওই বিস্ফোরক প্রথম সে দেখতে পান।’‌ এই ঘটনা নিয়ে নানা মত তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ কর্তব্যরত নার্সের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ রোগীর বিরুদ্ধে, বীরভূম হাসপাতালে গ্রেফতার

অন্যদিকে চিনের এখন নজর রয়েছে ভারতের দিকে। প্রায়ই ভারতের ভূখণ্ডকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চিন। এমনকী কয়েকবার চিনের সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লড়াই হয়েছে। তাই চিন–ভারত সম্পর্ক ভাল নয়। এমন আবহে এই বোমা উদ্ধার অন্য কিছুর ইঙ্গিত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনীতপুর জেলার পুলিশ সুপার বরুণ পুরকায়স্থর বক্তব্য, ‘‌বোমা যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই এলাকা মিসামারি পুলিশ থানার অন্তর্গত। বোমাটি সম্ভবত চিনের তৈরি। যা ১৯৬২ সালের যুদ্ধে ব্যবহার হয়েছিল। সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’‌

এছাড়া ভারত–চিন যুদ্ধ হয়েছিল অরুণাচল প্রদেশে। আর এই রাজ্যের প্রতিবেশী রাজ্য হল অসম। মর্টার স্মোক বোম এমন একটা বিস্ফোরক যা নানা কাজে লাগানো যায়। ধোঁয়া ছড়ানো, আগুন লাগানো থেকে শুরু করে নজরদারির কাজে লাগানো যেতে পারে। এই মর্টার স্মোক বোমা লেফটন্যান্ট কর্ণেল অভিজিৎ মিশ্রের নেতৃত্বে সেনার টিম নিয়ে মিসামারি ক্যাম্পে নিরাপদে ফাটিয়ে ফেলা হয়েছে। তাই আর ভয়ের বা আতঙ্কের কিছু নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে।