গরুর মাংস খায়, এই সন্দেহে হরিয়ানা এক বাংলার যুবককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃত যুবক দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা। নাম সাবির মল্লিক। অভিযোগ, তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারে গোরক্ষা কমিটির সদস্যরা। পরে একটি খালের ধার থেকে উদ্ধার হয় সাবিরের দেহ। এদিকে পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানা পুলিশ সাবিরের খুনের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে না। (আরও পড়ুন: প্রতিবাদীদের জমায়েতে ‘বাইকের ধাক্কা’! ৫ ঘণ্টা অবরোধের পর পুলিশ, সিভিকের নামে FIR)
আরও পড়ুন: আরও ঘনীভূত আরজি করের লাল জামা রহস্য, ডিসি সেন্ট্রালের দেওয়া তথ্য কি ভুল?
আরও পড়ুন: আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ডিএনএ মিলল শুধু একজনের: রিপোর্ট
পরিবারের সদস্যদের কথায়, এলাকায় কাজ না পেয়ে প্রায় তিন বছর আগে স্থানীয় কয়েক জন যুবককে নিয়ে হরিয়ানায় যান সাবির। নিহত যুবকের শ্যালকও তার সঙ্গে গিয়েছিল সেখানে কাজ করতে। সেই শ্য়ালকের সঙ্গেই বাড্ডা থানা এলাকায় থাকতেন বছর তেইশের সাবির। সেখানে কাগজ কুড়নোর কাজ করতেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানার গো-রক্ষা কমিটির সদস্য়রা তাঁকে গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। (আরও পড়ুন: ‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো…’ পোস্ট করতে ‘বাধ্য’ কর্তারা, কে দিচ্ছেন নির্দেশ?)
আরও পড়ুন: পড়েন ভুটানের স্কুলেও, TCS-এ চাকরি করে UPSC পাশ ২০১৩-তে, জানুন DC ইন্দিরার বিশদ
মৃতের পরিবারের দাবি, গোরক্ষক কমিটির লোকেরা সাবিরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে একটি নিকাশি খালের পাশ থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, এরপর সাবিরের শ্য়ালক সুজাউদ্দিনকে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে অবশ্য় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরে বাসন্তীর বল্লারটপ গ্রামে পৌঁছয় সাবিরের মৃতদেহ। (আরও পড়ুন: নিজের কাজ না করেই মোদীকে চিঠি লিখে চলেছেন মমতা? দিল্লি থেকে দ্বিতীয়বার এল জবাব)
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বৈঠকে মমতা-অভিষেক, আরজি কর কাণ্ডের আবহে দল-সরকারে আসবে বড় বদল?
হরিয়ানা পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া এফআইআর অনুসারে, ২৭ অগস্ট সকালে বেশ কয়েকজন যুবক এসে সাবিরদের বস্তিতে চোটপাট শুরু করে। এরপর সাবিরকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, সাবির ছাড়াও অসমের বাসিন্দা আসিরুদ্দিন নামে আরেক পরিযায়ী শ্রমিককেও বাসস্ট্যান্ডে ডেকে নিয়ে যায় সেই যুবকের দল। সেখানে দুজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পথচারীরা বাধা দিলে তারা দুজনকে তাদের মোটরসাইকেলে করে অন্য কোনও জায়গায় নিয়ে যায়। পরে সাবিরকে একটি খালের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আসিরুদ্দিনকে অন্য জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বর্তমানে অসমের সেই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।