RG Kar Doctor Rape and Murder: সেমিনার রুমের শাসক ঘনিষ্ঠ ‘লাল জামা’ আসলে কে? দাপট ছিল জেলাতেও! সিবিআইকে তথ্য দেবে আইএমএ

সেমিনার রুমে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল এক মহিলা চিকিৎসককে। তার কিছুদিন পরেই সামনে আসে সেই সেমিনার রুমের একটি ভিডিয়ো ও ছবি। সেখানে দেখা যায় পুলিশের সামনেই সেমিনার রুমে গিজ গিজ করছে ভিড়। তবে শুক্রবার  সাংবাদিক বৈঠক করে সেই ছবিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের কথা সামনে আনেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়। এরপরই আসল বিতর্কের সূত্রপাত। 

সেই ছবিতে পুলিশের পক্ষ থেকে লাল জামা পরা এক ব্যক্তিকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ হিসাবে দেখানো হয়েছিল। তবে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পালটা দাবি করা হয়েছে লাল জামা পরা ব্যক্তি কোনও ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ নন। তিনি হলেন অভীক দে। এসএসকেএমের পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্র। কিন্তু তিনি যদি অভীক হন তবে ওখানে কী করছিলেন? পুলিশ তার সুস্পষ্ট ব্যাখা দিতে চাইছে না। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন লাল জামা পরা ওই ব্যক্তি। 

কে এই অভীক দে? 

তিনি তৃণমূল নেতা বলেই স্বাস্থ্য দফতরে পরিচিত। তৃণমূলের একেবারে পরিচিত নাম। বর্ধমান জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি স্বরাজ ঘোষের সঙ্গে তার ছবিও ভাইরাল। তবে জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এই স্বরাজ ঘোষ জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা হওয়ার জন্যই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্রেই বিয়েতে যাওয়া আর সেখানেই ছবি তোলা। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ছবি তোলা হতেই পারে। সমাজ মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। 

এদিকে শুধু কলকাতা স্তরের হাসপাতালেই  নয়, অভীকদের ক্ষমতার দাপট জেলাস্তরেও ছড়ানো বলে খবর। চুঁচুড়ার এক চিকিৎসককে তিনি ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন বলে খবর।

তবে ওই ব্যক্তি অভীক নাকি অন্য কেউ তা নিয়ে সংশয়টা পুরোপুরি যে কেটেছে সেটা নয়। 

আরজি করের সেমিনার হলে লাল জামা পরা ব্যক্তি কি সত্যিই অভীক দে? নাকি ওই ব্যক্তি আদতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ? সেই বিষয়টি নিয়ে যখন রহস্য ক্রমশ ঘনাচ্ছে, তখন কলকাতা পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে জানানো হল যে লাল জামা পরিহিত ব্যক্তির নাম হল আনিসুর রহমান। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) পশ্চিমবঙ্গ শাখার দাবি খারিজ করে লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে যে ওই ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ। চুলের ধরন দেখে আনিসুরকে অভীক বলে মনে হচ্ছে বলে পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।