Ripun Bora: দল ছাড়লেন অসম টিএমসির সভাপতি, দেড় বছর ধরে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মেলেনি

অসমে বিরাট ধাক্কা খেল তৃণমূল। অসমের তৃণমূল সভাপতি রিপুন বোরা তাঁর রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। দলও ছেড়েছেন তিনি।  দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠি দিয়ে তিনি গোটা বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, অসমে তৃণমূলের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু একাধিক ইস্যুর জেরে তৃণমূলের অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তৃণমূল বাংলার একটা আঞ্চলিক দল এটাও একটা বড় কারণ। এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা নানা ধরনের প্রস্তাব দিয়েছি। জাতীয় স্তরে অসমের নেতাকে সামনে আনার কথা বলেছি। টালিগঞ্জে ভূপেন হাজারিকার বাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি করেছিলাম। কোচবিহারের মধুপুর সত্রকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কথা বলেছিলাম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বার বার বলা সত্ত্বেও , আপনার ও মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দিদির দেখা পাওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করা সত্ত্বেও আমি সফল হতে পারিনি। 

কার্যত দীর্ঘ চিঠি লিখেছেন রিপুন  বোরা। তিনি লিখেছেন, অসমের মানুষ এমন কোনও দলকে মেনে নিতে চায় না যারা একটা রাজ্যের আঞ্চলিক দল। এনিয়ে বার বার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সেকারণেই একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। কোনও অভিযোগের জেরে এই সিদ্ধান্ত নয়। আসলে এটা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। 

সেই সঙ্গেই তিনি লিখেছেন, গত দেড় বছর ধরে  বার বার আপনার ও মুখ্যমন্ত্রী দিদির সঙ্গে দেখা করার জন্য় অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছি। এই উদ্বেগ নিয়ে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সফল হতে পারিনি। তবে এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাশের রাজ্যের দলের সভাপতি দেড় বছর ধরে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন অথচ তাঁদের দেখা পাচ্ছেন না এটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

এদিকে ডায়মন্ডহারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এক ডাকে অভিষেকের সূচনা করেছিলেন। আবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ করার জন্য রয়েছে দিদিকে বলো। অথচ দেখা যাচ্ছে পাশের রাজ্যের দলীয় সভাপতিই দেখা করতে পারছেন না এটা দলের কাছে কতটা স্বস্তির তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। 

সেই সঙ্গেই অসমে কীভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন সেকথাও তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও পদত্যাগ করলেন তিনি। 

এদিকে একটা সময় অসম ও ত্রিপুরায় দলকে শক্তিশালী করার জন্য চেষ্টার কোনও কসুর করেননি অসম তৃণমূল। কিন্তু বাস্তবে কাজ কতটা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।