‘‌নেংটি থেকে ধেড়ে সকলের নাম ওই তালিকায় আছে’‌, সিবিআইকে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে এখন গোটা রাজ্য উত্তাল। এই অভিযোগের জেরে প্রতিবাদ–আন্দোলন–ধরনা–স্লোগান সবই চলছে। তবে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এবার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হলেন চিকিৎসকরা। সিবিআইকে কয়েকজন সন্দেহভাজনের নামের তালিকা তুলে দিয়েছেন তাঁরা। আর সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে সাংবাদিকদের জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘সিন্ডিকেটের বড় মাথাদের নাম দিয়ে এসেছি।’ এই মাথারা কারা?‌ জবাব দেননি ডাক্তাররা। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে নতুন করে জলঘোলা হচ্ছে।

প্রায় ২০ দিন হয়ে গেল। এখনও তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি সিবিআই তদন্তের বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই শহর থেকে গ্রামবাংলার বহু দুর্গাপুজো কমিটি সরকারি অনুদান ফেরত দিতে চেয়েছেন। আজ, রবিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত একটি মিছিল করেন ডাক্তাররা। মিছিল শেষের পর জুনিয়র ডাক্তাররা সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক সেরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্যে যে সার্বিক দুর্নীতি হয়েছে সেটা নিয়ে একটি নামের তালিকা গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। কদিন আগেও এখানে এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তখন তেমন সাড়া মেলেনি।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌এরা কুত্তার মতো গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছে’‌, তৃণমূল সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্য

এবার সাড়া মিলতে শুরু করেছে। অনেকদিন ধরে আন্দোলন চলছে। এবার সরাসরি নামের তালিকা দিয়ে অভিযোগ করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কারণ বিষয়টি মানুষের সামনে আনা দরকার বলে মনে করেন তাঁরা। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, ‘‌নেংটি থেকে ধেড়ে সকলের নাম ওই তালিকায় আছে। স্বাস্থ্যের চরম দুর্নীতির পরোক্ষ প্রভাবে এই ঘটনা ঘটেছে। কর্মবিরতির জেরে তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই ‘থ্রেট সিন্ডিকেট’–কে খুঁজে বের করতে হবে। তাহলেই কান টানলে মাথা আসবে। এই ঘটনায় অভিযুক্তরা সামনে চলেও আসতে পারে।’‌

ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছেন। পাল্টা সিবিআই দফতর ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালতীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। আর এই আবহে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেন, ‘‌মিথ্যের পাহাড় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। বড় কাউকে বাঁচাতে? ধেড়ে থেকে নেংটি দীর্ঘ তালিকা দিয়ে এসেছি। সেখানে কাদের কাদের উপর তদন্ত করা প্রয়োজন সেগুলি মার্ক করে দিয়েছে। নামের মধ্যে একাধিক স্বাস্থ্যকর্তা আছেন। যাঁরা ওইদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন, তাঁরা কেন ওখানে ছিলেন তার যুক্তি বুঝতে পারিনি আমরা। এখনও বুঝতে পারছি না। সেই সব নাম আমরা বলে এসেছি। আমরা চাইছি এদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হোক।’‌