আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ গ্রেফতার

অবশেষে গ্রেফতার হলেন আরজি কর হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই সন্দীপকে নিয়ে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্স  থেকে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছিল আজ কি বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? এরপরই সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার হাতে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন সন্দীপ ঘোষ। তবে বহু আলোচিত নারী চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।

ওই নারী চিকিৎসকের মৃত্যুর পরই সন্দীপ ঘোষের নাম উঠে আসে। সেখানকার সাবেক সুপার আখতার আলির সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। এর পাশাপাশি সিবিআই-এর কাছে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় যে নাম উঠে এসেছিল তার মধ্যে প্রথমেই ছিল আরজি  করের সাবেক অধ্যক্ষের নাম। একই সঙ্গে আরও তিনটি সংস্থার নামও ছিল সেখানে।

কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে সন্দীপের সরাসরি যোগাযোগ মিলেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর পরই অ্যান্টি করাপসন ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের সঙ্গে (যাঁরা খুন ও ধর্ষণের তদন্ত করছেন)। পরে দুজন সিবিআই কর্মকর্তা কার্যত আটক করে নিয়ে যান সন্দীপকে। এর পরই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত ১৫ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সন্দীপকে। রোজ নিয়ম করে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন তিনি। সোমবারও গিয়েছিলেন। এর আগে, তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে আরজি কর থেকেও উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি। পাশাপাশি তার আরজি করের কক্ষ থেকে আরও কিছু হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত হয়।

এদিকে, সন্দীপের গ্রেফতারের পর ওই নারী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে যে দুর্নীতির বলি হয়েছে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পুরো বিভাগকেই আমরা এর জন্য প্রথম থেকে দায়ী করে আসছি। আজ সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন। আরও যারা জড়িত আছেন তারাও গ্রেফতার হোক। যেদিন এদের সবার ফাঁসি হবে, সেদিন মনের আশা কিছুটা পূরণ হবে।’

এসময় ভুক্তভোগীর মা জানান, ‘আমি তো একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছি। তাকে পুরোপুরি ডাক্তার হিসেবে তৈরি করে তারপর হারিয়েছি। এর জন্য পুরো হাসপাতালকেই দায়ী করব। আর মূলে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। একটু হলেও এখন বিচার পাওয়ার আশা পাচ্ছি।’