‘হস্তক্ষেপ করতে পারি না, এটি নীতিগত বিষয়’, সামাজিক ও জাতিভিত্তিক জনগণনার আর্জির কেস খারিজ করে বার্তা SCর

সামাজিক ও জাতিভিত্তিক জনগণনার আর্জি নিয়ে এক মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। এই জনস্বার্থ মামলায় আর্জি জানানো হয় সামাজিক ও জাতিভিত্তিক জনগণনার জন্য। যা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ‘আমরা এতে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। এটা নীতিগত বিষয়।’

উল্লেখ্য, সামাজিক ও জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিতে জানানো মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতের সাফ বার্তা, গোটা বিষয়টি নীতিগত ইস্যু। এটি নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়না কোর্ট। কোর্ট সোমবার এই মামলা খারিজ করে বলেছে,’এটা কী? এটি শাসনের আওতার মধ্যে রয়েছে। আমরা কী করতে পারি?’ এখানেই শেষ নয়। কোর্ট বলে, ‘ ৯৪টি দেশ এটি করেছে। ভারত (এখনও) করতে পারেনি। ইন্দ্র সাহনি-রায় বলে যে এটি পর্যায়ক্রমে করতে হবে।’ মামলা খারিজ করার সময় কোর্ট বলে, ‘ দুঃখিত, আমরা এটা খারিজ করছি। আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। এটি একটি নীতিগত বিষয়।’ আদালতের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে, পিটিশনকারী অবশেষে আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেন।

১৯৯২ সালের যুগান্তকারী ইন্দ্র সাহনি রায়টি সংরক্ষণের জন্য ৫০ শতাংশের ক্যাপ আরোপ করার সময় অনগ্রসর জাতিগুলির জন্য সংরক্ষণের বৈধতাকে বহাল রেখেছিল। ২০২১ সালে মারাঠা সংরক্ষণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা রায়টি পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জাতিশুমারি পরিচালনার বিষয়টি কিছু বিতর্ক এবং রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। বিহার সরকারের এমন একটি মহড়া করার সিদ্ধান্তকেও আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। 

( Bahraich Wolf: নরখাদক নেকড়ের মুখ থেকে সন্তানকে বাঁচাতে পশুর গলা টেপার চেষ্টা এক মায়ের! বাহারইচে রোমহর্ষক পরিস্থিতি)

এদিকে, আরএসএস এর পক্ষ থেকে দেশ জুড়ে জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি তোলা হয়েছে। আরএসএস বলছে, ‘নির্বাচনী লাভের জন্য বর্ণ শুমারি হওয়া উচিত নয়। জনগণের উন্নতির জন্য জাতি শুমারি করা উচিত। এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয় এবং এটি নিয়ে কোনও রাজনীতি করা উচিত নয়। তাঁদের উন্নয়নের জন্য প্রতিটি বর্ণের মানুষের সংখ্যা জানা গুরুত্বপূর্ণ।’