Sandip Ghosh arrested: সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল CBI, রাতে আর ফিরতে হবে না RG করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই। তবে সূত্রের খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। আর সেই খবর পৌঁছানোর পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবিতে লালবাজার অভিযানের মধ্যেই এক আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘যেটা পুলিশ করতে পারেনি, সেটা সিবিআই করে দেখিয়েছে।’ অপর একজন বলেন, ‘তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করল। অথচ এখনও স্বাস্থ্যভবন থেকে অপসারণ করা হয়নি।’

‘ধর্ষণের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি’

তবে সন্দীপকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে আন্দোলন থামবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অপর এক চিকিৎসক। ফিয়ার্স লেনে ধরনায় বসে থাকা এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘ধর্ষণের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। দুর্নীতির মামলায় স্যারকে গ্রেফতার করা করা হয়েছে। তাই দিদির যাঁরা আসল দোষী, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের আন্দোলন চলবে।’

কীভাবে সন্দীপকে গ্রেফতার করল CBI? 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে সন্দীপকে ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। প্রতিদিন সিজিও কমপ্লেক্সে আসতেন সন্দীপ। তারপর রাতে বা গভীর রাতে বাড়ি ফিরে যেতেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তারইমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর মধ্যে তদন্ত শুরু করে সিবিআই।

আরও পড়ুন: Sandip’s conversation with Police: ‘ক্রাইম সিনটা…..’, তরুণীর মৃত্যুর খবর পেয়েই পুলিশকে ‘নির্দেশ’, দাবি সন্দীপের

সেই আবহেই আজ ১৬ তম দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন। তারপর সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করা হয়। গাড়ির পিছনের সিটে মাঝখানে বসানো হয় সন্দীপকে। দু’পাশে দুই সিবিআই আধিকারিক ছিলেন। সেই ছবি দেখেই কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছিল যে তাহলে কি আজ রাতে আর বাড়ি ফেরা হচ্ছে না? সিবিআইয়ের হেফাজতে মঙ্গলবার সকাল হবে সন্দীপের? 

কমিশনারের ইস্তফার দাবির মধ্যেই সন্দীপকে গ্রেফতার

আর সেই কানাঘুষো সত্যি হতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সন্দীপকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয়। আর তারপরই আসে সেই ‘খবর’ – মঙ্গলবার সকালটা সিবিআই হেফাজতেই হবে সন্দীপের। সূত্রের খবর, তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। আর যখন তাঁকে গ্রেফতার করা হল, তখন কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ইস্তফার দাবিতে অবস্থান করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যে পুলিশ সন্দীপের একবারও বয়ান রেকর্ড করেনি বিস্ময় প্রকাশ করেছে আদালত।

আরও পড়ুন: Lalbazar Abhijan LIVE: ‘পুলিশ ভুলে যাচ্ছে আমরা টানা ৪৮ ঘণ্টাও ডিউটি করি’, CP ইস্তফা চেয়ে হুংকার