শিক্ষার্থীদের নৌকা ভাড়া ফ্রি

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর খেয়াঘাটগুলোতে যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য নৌকার ভাড়া ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ নিয়ম কার্যকর হবে। 

তবে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে শিক্ষার্থীরা কোথাও বেড়াতে গেলে অর্ধেক ভাড়া দিতে হবে। পাশাপাশি ঘাটে টোলসহ ভাড়ার তালিকা উন্মুক্ত স্থানে লাগতে বলা হয়েছে। 

সম্প্রতি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বগুড়া জেলা পরিষদ। সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সারিয়াকান্দি উপজেলায় কালিতলাসহ কয়েকটি খেয়াঘাট রয়েছে। এসব ঘাট দিয়ে নৌকায় প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর, কর্মস্থল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। এতদিন শিক্ষার্থীদের নৌকা ভাড়া দিতে হতো। মাঝেমধ্যে অর্ধেক ভাড়া দেওয়া নিয়ে মাঝিদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হতো।

গত ২৮ আগস্ট জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় সারিয়াকান্দির এসব খেয়াঘাট দিয়ে চলাচলকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ভাড়া না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ১২ বছরের অধিক বয়সী শিক্ষার্থীরা নৌকায় কোথাও বেড়াতে গেলে অর্ধেক ভাড়া দিতে হবে। আগে জেলা পরিষদ থেকে ইজারা দেওয়া ঘাটগুলোতে নৌকায় দিনে তিনটি ট্রিপ চলমান ছিল। এখান থেকে সকাল ৯টা, বেলা ১১টা, দুপুর ১টা, বিকাল ৩টা ও বিকাল ৫টায় ট্রিপ পরিচালনা করা হবে। তবে এ সময়ে স্থানীয়দের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে।

এ ছাড়া যাত্রীদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার ও খেয়াঘাট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার বিষয়ে ইজারাদার তার নিযুক্ত কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। জনস্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন কর্মকাণ্ডের জন্য ইজারাদার দায়ী থাকবেন। টোলসহ নৌকার ভাড়া উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। 

এ বিষয়ে ঘাটের ইজারাদার শাহজাহান আলী মোল্লা বলেন, ‘জনস্বার্থে ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে জেলা পরিষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবো আমরা।’

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সারিয়াকান্দিতে খেয়াঘাট বড় ও বেশি হওয়ায় সেখানে শিক্ষার্থীদের নৌকা ভাড়া ফ্রি করা হয়েছে। জেলার অন্যান্য ঘাটে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাড়া না নেওয়ার ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ 

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জেলা পরিষদের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে তদারকি অব্যাহত থাকবে।’