সন্দীপের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ? গ্রেফতারির ১২ ঘণ্টা পরেও ঠিক করতে পারল না সরকার

গ্রেফতারির পর ১২ ঘণ্টা কাটলেও আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে তা মঙ্গলবার দুপুরেও ঠিক করতে পারল না স্বাস্থ্য দফতর। যার জেরে ক্ষোভ বাড়ছে আন্দোলনরত চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে। রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বৈঠকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন – ‘আমার মেয়ে দুর্নীতির বলি, আরও অনেকে জড়িত’, সন্দীপ গ্রেফতার হতেই বললেন বাবা

পড়তে থাকুন – ‘প্রমাণ হল আমি ভুল বলিনি’, সন্দীপের গ্রেফতারির পর ইঙ্গিতবহ বার্তা শান্তনুর

 

আরজি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগে সোমবার রাতে অবশেষে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আন্দোলনকারীদের চাপে মহিলা চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের পর আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন সন্দীপ। একই সঙ্গে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সেই ইস্তফাপত্র প্রত্যাখ্যান করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সন্দীপকে ন্যশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে বসায় রাজ্য সরকার। যদিও ছাত্র আন্দোলনের জেরে সেই পদে বসতে পারেননি সন্দীপ। এর পর আন্দোলনকারীদের দাবি মতো তাঁর সেই নিয়োগ খারিজ করে স্বাস্থ্য ভবনের ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয় সন্দীপ ঘোষকে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের প্রতি রাজ্য সরকারের এত দরদ কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্টও। সেই সন্দীপের গ্রেফতারির ১২ ঘণ্টা পরেও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেনি রাজ্য সরকার।

মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যভবনে ঢোকার সময় স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা বলেন, আমরা আজ বৈঠকে বসব। আইন – কানুন কী রয়েছে দেখে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন – আরজি কর কাণ্ডে অভীক দে-কে সাসপেন্ড করল টিএমসিপি, দায় এড়াতে মরিয়া শাসকদল

স্বাস্থ্যকর্তার এহেন মনোভাবে ক্ষুব্ধ লালবাজারের কাছে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাদের কথায়, এবারও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ না করলে বুঝতে হবে, তাদের সঙ্গে অভিযুক্তের সরাসরি কোনও স্বার্থ যুক্ত রয়েছে।