৬০ টাকা কেজির কমে চাল নেই বাজারে, সমাধানে ভারতের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ

বন্যার পর এবার বাংলাদেশে ঊর্ধ্বমুখি চালের দাম। যার জেরে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে জনজীবনে। গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে পাইকারি বাজারে চালের দাম ১০ – ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সমস্যা সমাধানে সেদেশের অস্থায়ী সরকারের কাছে ভারত থেকে অবাধে চাল আমদানির অনুমতি চাইছেন ব্যবসায়ীরা।

 

ভয়াবহ বন্যার ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। এরই মধ্যে সেদেশে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। গত কয়েক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে চালের দাম ১০ – ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম প্রধান দেশেই চালের দাম বাড়তে শুরু করায় ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে জনমানসে। যদিও চালের দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটরাজ ও অসাধু মজুতদারদের দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, বন্যা ও ত্রাণের অজুহাত দেখিয়ে মজুতদাররা পুরনো চুক্তিপত্র অনুসারে চাল পাঠাতে অস্বীকার করছেন। বেশি দাম দিলে তবেই বাজারে ঢুকছে চালের ট্রাক। এর ফলে খুচরা ব্যবসায়ীদের বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমনই ৬০ বাংলাদেশি টাকা কেজির কমে কোনও চাল নেই সেদেশের বাজারে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, সিন্ডিকেটরাজ ও এক শ্রেণির মজুতদাররা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। কখনও তারা বলছেন, বন্যার জন্য গাড়ি কম চলাচল করছে বলে দাম বাড়ছে। কখনও বলছে, ত্রাণের জন্য চালের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম ঊর্ধ্বমুখি। আর তাতে সেদেশের এক শ্রেণির নাগরিক প্রশ্ন তুলছেন, সরকার বদলে তাহলে লাভ কী হল?

আরও পড়ুন – আরজি করের প্রতিবাদে শহরের বহু জায়গায় ‘অভয়া ক্লিনিক’, পরিষেবা দিলেন জুনিয়ররা

ব্যবসায়ীদের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে অবাধে চাল আমদানির অনুমতি দিক সেদেশের সরকার। তাহলে কৃত্রিম চাহিদা তৈরির চেষ্টা হলেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আগামী কিছুদিন চালের দাম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।