RG Kar protest: আরজি করের প্রতিবাদ দুর্গা পুজোর মণ্ডপে, স্মৃতিসৌধ করে হবে স্মরণ নির্যাতিতাকে

দুর্গাপুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। কিন্তু, তার আগে শহরে ঘটে গেছে নৃশংস ঘটনা। সেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই একাধিক পুজো কমিটি দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া, দুর্গাপুজোর থিম হোক বা পুজোর সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক পুজো মণ্ডপেই যে প্রতিবাদ ফুটে উঠবে তা আগে থেকেই আঁচ করা গিয়েছিল। সেই মতো দুর্গাপুজোর আঙিনায় আরজি করের প্রতিবাদ জানাতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ পথ বেছে নিলেন শিল্পী থেকে শুরু করে পুজো উদ্যোক্তারা।

আরও পড়ুন: ধুতিতে ধর্ষণের দাগ…..পুজোর অনুদান ফেরানো নিয়ে সিপিএমকে আক্রমণ কল্যাণের

আরজিকর কাণ্ডে প্রতিবাদ জানাতে এবার প্রতিমা নির্মাণে বৈচিত্র আনার কথা পরিকল্পনা করছেন শিল্পী সনাতন দিন্দা। এবার তিনি ভবানীপুর ৭৫ পল্লী এবং বাঘাযতীন সেন্টার ক্লাবের প্রতিমা তৈরি করছেন। তিনি জানান, সাধারণত তিনি অন্যান্যদের থেকে অন্যরকমভাবে প্রতিমা তৈরি করেন। তার প্রতিমার মূল বিষয়টি হল হাতে কখনও অস্ত্র থাকে না। তবে আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ জানাতে এবার তিনি প্রতিমার অস্ত্র রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নির্যাতিতা নিহত তরুণী চিকিৎসককে এবার দুর্গাপূজা উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজারহাটের ‘সিলভার ওক এস্টেট’ আবাসনের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, তারা মণ্ডপের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নির্যাতিতার জন্য একটা স্মৃতি সৌধ রাখবেন, যেখানে মালা দিয়ে তাঁকে স্মরণ করা হবে। 

যদিও আরজি করের ঘটনার আগেই মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। এবার সেখানে রাজস্থানের একটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজই অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ফলে শেষ মুহূর্তে। আর বড় কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। তাই এবছর মৃত চিকিৎসককে দুর্গাপুজো উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই পুজো কমিটি।

তাদের তরফে জানানো হয়েছে, আরজি করের ঘটনার পর সকলে মিলে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাছাড়া, ২০০ টি ছবি আঁকা হবে। সেখানে শিশুদের গুড টাচ এবং ব্যাড টাচ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ছোটদের সতর্ক করা হবে। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, এই আবাসনে প্রচুর শিশু থাকে। এই বয়সে নানারকম বিপদের আশঙ্কা থাকে। তাই তাদের সতর্ক করার প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, কলকাতার অধিকাংশ পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, সাধারণত এপ্রিলেই মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। আর এই সময় মণ্ডপে প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। ফলে মণ্ডপের থিমে আরজি করের মতো ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর জন্য সময় খুব কম ছিল তাদের হাতে। এই অবস্থায় অভিনব পথ বেছে নিয়েছে রাজারহাট-নিউ টাউনের সিলভার ওক এস্টেট।