‘এই সমস্ত নিকৃষ্ট স্তরের লোকজনদের সমাজের উঁচু স্তরে বসিয়েছেন মমতা’

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পরদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে বহরমপুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে চায়ের আসরে তিনি বলেন, সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল।

আরও পড়ুন – ‘আমার মেয়ে দুর্নীতির বলি, আরও অনেকে জড়িত’, সন্দীপ গ্রেফতার হতেই বললেন বাবা

পড়তে থাকুন – ‘প্রমাণ হল আমি ভুল বলিনি’, সন্দীপের গ্রেফতারির পর ইঙ্গিতবহ বার্তা শান্তনুর

 

এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষ অ্যারেস্ট হবে সবাই জানত। শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। ওঁর চরিত্র সম্বন্ধে যা শোনা যাচ্ছে, একজন মহাপুরুষের পর্যায়ের মানুষ। মমতা ব্যানার্জি এই সমস্ত নিকৃষ্ট স্তরের লোকজনদের সমাজের উঁচু স্তরে বসিয়ে দিয়েছেন।’

১৬ দিন জেরার পরে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে সোমবার রাতে প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতালের সম্পত্তি বেআইনিভাবে ভাড়া দেওয়া। চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে দুর্নীতি, হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি, টাকার বিনিময়ে ছাত্রদের পাশ করানোর অভিযোগ এনেছেন ওই হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।

আরও পড়ুন – আরজি কর কাণ্ডে অভীক দে-কে সাসপেন্ড করল টিএমসিপি, দায় এড়াতে মরিয়া শাসকদল

আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের পর সন্দীপবাবুর দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে। এমনকী হত্যাকাণ্ডের তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ছাত্র আন্দোলনের জেরে আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেন সন্দীপ ঘোষ। একই সঙ্গে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সেই ইস্তফাপত্র প্রত্যাখ্যান করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সন্দীপকে ন্যশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে বসায় রাজ্য সরকার। যদিও ছাত্র আন্দোলনের জেরে সেই পদে বসতে পারেননি সন্দীপ। এর পর আন্দোলনকারীদের দাবি মতো তাঁর সেই নিয়োগ খারিজ করে স্বাস্থ্য ভবনের ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয় সন্দীপ ঘোষকে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের প্রতি রাজ্য সরকারের এত দরদ কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্টও। সেই সন্দীপের গ্রেফতারির ১২ ঘণ্টা পরেও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেনি রাজ্য সরকার।