‘‌রাত দখল করো’‌, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতাল শুনানির আগে সুখেন্দুর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যার তদন্ত করছে সিবিআই। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আছে আরজি কর মামলার শুনানি। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। আরজি কর হাসপাতালে ঘটা ঘটনার পর থেকেই নানা পোস্ট করেছেন এই পোড়খাওয়া সাংসদ। তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে দলের ভিতরে ও বাইরে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। রাত জাগার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। আর তাতেই রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে।

সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রায় ২২ দিন লাগিয়ে দিল। তারপরও কোনও নতুন তথ্য বের করতে পারেনি। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এবার আবার রাত জাগার পালা। কলকাতার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একটা বড় অংশ আজ রাতে পথে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। সেখানে সাধারণ মানুষের যোগদানের সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষজনকে বাড়ির আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাস্তায় সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। তারই মধ্যে উন্মাদনা ও উদ্যমকে আরও অক্সিজেন দিলেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, যাঁরা গতকাল লালবাজার অভিযান করেছিলেন তাঁরা জানান, আপাতত লালবাজার থেকে ডাক্তারদের অবস্থান উঠলেও আন্দোলন চলবে। এই কথা জানানোর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করেছেন। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরই এক্স হ্যান্ডেলে সুখেন্দুশেখর লিখেছিলেন, মিডল স্টাম্প উপড়ে গেল। এর পর কী। তারপর বাস্তিল দুর্গের পতনের তথ্য সামনে নিয়ে এসেছিলেন। কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক। এমন নানা কথা আগে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন। এবার কিন্তু একেবারে নতুন কথা লিখলেন।

আরও পড়ুন:‌ বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা, বড় পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির

এছাড়া আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় প্রথম থেকেই তদন্ত করছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তারপর তা যায় সিবিআইয়ের হাতে। আর আজ বুধবার সুখেন্দুশেখর রায় লেখেন, ‘‌রাত দখল করো—মানুষের মৌলিক অধিকারও পুনরুদ্ধার করো। যাতে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী মানুষ মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকতে পারে।’‌ সুতরাং একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ রাত জাগার আহ্বান জানাচ্ছেন অপরদিকে মৌলিক অধিকারের কথা স্মরণ করালেন। যা নিয়ে তাঁর দলের অস্বস্তি বাড়তেই পারে।