Bizarre: ব্রেকআপ করেছিল প্রেমিক, প্রেমের প্রতিশোধ নিতে ৭৩ জন পুরুষকে ঠকালেন ট্রান্স মহিলা

প্রেমের প্রতিশোধ নিতে ৭৩ জন পুরুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ট্রান্স মহিলা। শুধু তাই নয়, হাতিয়ে নিয়েছেন ৭ কোটির বেশি টাকাও। শুধুমাত্র জাপানি পুরুষদেরই এইভাবে ঠকিয়েছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও হয়েছেন ইতিমধ্যেই। তবে, এতজন পুরুষকে ঠকানোর পিছনে ওই মহিলার আসল উদ্দেশ্যটা হতবাক করেছে পুলিশকে।

জানা গিয়েছে, জাপান থেকে থাইল্যান্ডে আসা ব্যক্তিদের টার্গেট করতেন এই মহিলা। তিনি নিজেকে থাইল্যান্ডের টুরিস্ট বলে পরিচয় দিতেন। জাপানি পুরুষদের দেখলে, তাঁদের কাছে গিয়ে বলতেন যে তাঁর পাসপোর্ট এবং পার্স হারিয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশে ফিরতে তাঁর সাহায্য দরকার। এইভাবে তিনি মানুষের কাছে সাহায্য চাইতেন এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতেন। তাঁদের থেকে টাকাও নিতেন।

আরও পড়ুন: (বাঙালির পাতে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ পড়বে না দুর্গাপুজোয়, ফরমান জারি বাংলাদেশের)

কীভাবে সবটা জানাজানি হল

সম্প্রতি ওই মহিলার প্রতারণার জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন থাইল্যান্ডে আসা একজন জাপানি ব্যক্তি। মহিলার আসল উদ্দেশ্য জানতে পেরে, তিনি সরাসরি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। জানান যে অ্যামি নামে একজন ট্রান্সজেন্ডার মহিলা তাঁকে প্রতারণা করেছেন। তাঁর থেকে ১৫ মিলিয়ন বাহট অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়েছেন। এরপর পুলিশ যখন এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করকে, বেরিয়ে আসে চমকপ্রদ তথ্য।

মহিলাটি প্রতারণার খেল খেলতেন এইভাবে

জানুয়ারিতে থাইল্যান্ডে ৩৬ বছর বয়সী অ্যামির সাথে দেখা হয়েছিল ওই জাপানি ব্যক্তির। অ্যামি নিজেকে হংকং থেকে আসা একজন পর্যটক হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে তাঁর পাসপোর্ট এবং পার্স হারিয়ে গিয়েছে। এরপর জাপানি ব্যক্তির কাছ থেকে হোটেল ভাড়ার টাকা নিয়ে ফোন নম্বর শেয়ার করেন অ্যামি। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। শুধু তাই নয়, অ্যামিকে বেশ কয়েকবার ডেটে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করেন ওই ব্যক্তি। এমনকি তিনি, বীমা করার জন্য ও চিকিৎসা খাতে খরচের জন্যও অ্যামিকে টাকা দিয়েছিলেন। পালিয়ে যাওয়ার আগে সোনা কেনার জন্যও টাকা নিয়েছিলেন অ্যামি। সে টাকা আর ফেরত দেননি। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: (Shocking News: কিস্তি দিতে না পারায় হুমকি দিচ্ছিলেন এজেন্টরা, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করল স্বামী-স্ত্রী-মেয়ে)

তদন্তের সময়, পুলিশ দেখেছে যে মহিলাটি ২০১১ থেকে ২২০৪ সালের মধ্যে এইভাবে ৭৩ জন জাপানি ব্যক্তিকে প্রেমের জালে জড়িয়ে, ৭.৩৫ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা করেছেন। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে অ্যামির আসল পিস উথাই নান্তাখান। ইতিমধ্যেই এই থাই ট্রান্স মহিলাকে ব্যাংকক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করে মহিলা জানিয়েছেন, পড়াশোনা করার সময় তিনি এক জাপানি ছেলের প্রেমে পড়েছিলেন, কিন্তু তিনি প্রতারণা করেন। এরপর থেকেই, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ট্রান্স মহিলা নিজের মতো করে জাপানিদের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছেন।

আরও পড়ুন: (Ladki Bahin Yojana scheme scam: লড়কি বহেন যোজনায়ও প্রতারণার ছক! ৩০টি আধার ব্যবহার করে টাকা হাতানোর চেষ্টা)

উথাই নান্তাখান নিজেই জানিয়েছেন, কলেজে পড়ার সময়, তাঁর জাপানি প্রেমিক তাঁকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কোনও বিল পরিশোধ না করেই, নান্তাখানকে বিপাকে ফেলেছিলেন প্রেমিক। তখন মন ভেঙে যায় মহিলার। এর পরেও আরও একবার জাপানি পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় প্রেমিকও তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেন। বারবার এইভাবে ঠকে গিয়েই, নান্তাখানের দাবি, ‘আমি সত্যিই জাপানিদের ঘৃণা করি। তাই জাপানি পুরুষদের উপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলাম।’ সূত্রের খবর, দোষী সাব্যস্ত হলে উথাই নান্তাখানকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৬০,০০০ বাহট জরিমানা করা হতে পারে৷