Father on RG Kar Doctor’s last rites: ‘মেয়ে ভেবেছে, বাপি কটা টাকাও দিতে পারল না’, দেহ সৎকারের ঘটনায় উত্তর খুঁজছেন বাবা

অভিশপ্ত রাতে শ্মশানের কোনও খরচ নেওয়া হয়নি। মেয়ের দেহের সৎকারের খরচ ‘ফ্রি’ করে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই ঘটনায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের বাবা। বুধবার রাতে একরাশ হতাশা এবং রাগের মধ্যেই তিনি বলেন, তরুণী চিকিৎসকের দেহ দাহ করার জন্য তাঁদের উপরে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। ‘এখানেও একটা প্রশ্ন। আমার মেয়ে সেদিন মারা গিয়েছে। আমার মেয়ের শ্মশানের খরচটা ফ্রি করে দিয়েছে। কারা? আমরা জানতে পারিনি আজ পর্যন্ত। কেন করা হয়েছে? আমার মেয়ের আত্মা খুব কষ্ট পেয়েছে। যাওয়ার সময় ভেবেছে যে আমার বাপি এইটুকু টাকা খরচ করতে পারল না। কী মর্মান্তিক ছিল আমার কাছে সেই দিনটা। এই প্রশ্নের উত্তরটা কে দেবে?’

‘আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম’

তরুণী চিকিৎসকের বাবা অভিযোগ করেন, গত ৯ অগস্ট তাঁদের উপরে এতটাই চাপ তৈরি করা হয়েছিল যে তাঁরা বাধ্য হয়ে মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উপরে এত প্রেশার তৈরি করা হয়েছিল….। আমরা টালা থানায় গিয়েছিলাম। টালা থানায় আমরা এক ঘণ্টা বসেছিলাম।’

‘৩০০-৪০০ পুলিশকর্মী আমাদের ঘিরে রেখেছিল’

তিনি আরও বলেন, ‘৩০০-৪০০ পুলিশকর্মী আমাদের ঘিরে রেখে সেখানে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছিল যে বাধ্য হয়ে আমরা বাড়িতে ফিরে যাই। বাড়িতে গিয়ে দেখি যে আমার বাড়ির সামনে ব্যারিকেড করে ৩০০-৪০০ পুলিশকর্মী দাঁড়িয়ে আছেন। সেই অবস্থায় আমাদের আর কিছু করার ছিল না। আমরা মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হই।’  

(বিস্তারিত পরে আসছে)