Woman holding BJP flag praises Mamata: হাতে বিজেপির পতাকা, বৃদ্ধার দাবি মমতাকে ফাঁসানো হচ্ছে, ভিডিয়ো পোস্ট করল তৃণমূল!

মাথায় গেরুয়া টুপি। হাতে বিজেপির পতাকা। সেই বৃদ্ধা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করছেন বলে একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখিয়ে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করেছেন যে বিজেপির মিছিলে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। তখনই মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। এমনকী এটাও বলেছেন যে মমতাকে ফাঁসানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কখনও কারও খারাপ করতে পারেন না। কখনও অন্যায় করতে পারেন না মমতা। আর সেই বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানান তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হৃদয়ে আজও মমতা আছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে পদ্মশিবিরের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

আরও পড়ুন: RG Kar CBI Investigation Latest: আরজি কাণ্ডে বিদেশি সিম রহস্য়! ফোন এসেছিল কাদের কাছে? তদন্তে সিবিআই-রিপোর্ট

‘মমতার আঁচলে বাধা পড়েছে মানুষের মন’

দেবাংশু বলেন, ‘দেখুন কাণ্ড! বিজেপির মিছিলে আসা মহিলা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জন্য কত কিছু করেছেন, মমতাকে মিথ্যা করে ফাঁসানো হচ্ছে। এটাই বাংলার খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষের মনের কথা। বিজেপি, আপনারা টাকা দিয়ে হয়তো মিছিলে, মিটিংয়ে মানুষের দেহ নিয়ে আসতে পারেন, কিন্তু মনটা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলে বাধা পড়ে গিয়েছে! সেক্ষেত্রে কী করবেন?’

আরও পড়ুন: RG Kar Doctor Family unhappy with Mamata: মেয়েদের তো আরও ছোট করছে! মমতার কথায় বিরক্ত RG করের তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা

প্রশ্নকর্তা ও বৃদ্ধার মধ্যে কী কী কথা হয়েছে (ভিডিয়ো অনুযায়ী)?

প্রশ্নকর্তা: আজ কীসের জন্য এসেছেন?

বৃদ্ধা: আমি মিছিলে এসেছি।

প্রশ্নকর্তা: কীসের জন্য? কী দাবিতে?

বৃদ্ধা: এই আমাদের মমতার দাবিতে।

প্রশ্নকর্তা: কী? কী?

বৃদ্ধা: সে নির্দোষী। সে নির্দোষী। কোনও দোষ নেই। কোনওদিন দোষ করেনি। সেই মমতাকে দোষী ফেলছে (বলছে)।

প্রশ্নকর্তা: কারা ফেলছে?

বৃদ্ধা: পুলিশ।

পাশ থেকে অপর একজন: তিলোত্তমা বল।

বৃদ্ধা: হ্যাঁ।

তৃতীয় ব্যক্তি: আরজি কর কাণ্ডের জন্য (আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলা)।

বৃদ্ধা: সে নির্দোষী বাবা। আমরা তো বুড়ো হয়ে গেলাম। নাতিপুতি ….। বিধবা ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার – সকলের ভালো করছে বাবা। কারও খারাপ করছে না। সেই মমতা এখন খারাপ হবে? কখনও নয়। আমরা বুড়ো। আমরা বুড়ো হয়ে গেলাম। কিন্তু এটা যে হতে পারে, তা মানব না আমরা। মানব না অন্যায়কে।

প্রশ্নকর্তা: কে অন্যায় করছে?

বৃদ্ধা: অন্যায় বাবা। মিথ্যে দোষ দিয়েছে।

বৃদ্ধা: বলছে যে মমতা নাকি সেই ডাক্তারকে মেরেছে। সেটা করতে পারে? ওই ডাক্তার তো কত মানুষের ভালো করেছে। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কখনও এত বড় অন্যায় করতে পারে? কখনও করতে পারে না।

আরও পড়ুন: National anthem unite doctors and police: জাতীয় সংগীত মিলিয়ে দিল ‘যুযুধান’ জুনিয়র ডাক্তার ও পুলিশকে! ভোরে…আবার দুপুরেও