ইসরায়েলে হামলার দায়ে হামাস নেতাদের অভিযুক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণঘাতী এই হামলার পরিকল্পনা, সমর্থন ও অপরাধের দায়ে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এই মামলার ঘোষণা দেওয়া হয়। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দায়ের করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওইদিনের হামলায় ইসরায়েলে ৪০-জনেরও বেশি আমেরিকানসহ এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন।

এই হামলার জের ধরে গাজায় একটি যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে। সেখানে ইসরায়েল ৪০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ভূখণ্ডটির অধিকাংশ অঞ্চলকেই ধ্বংস করেছে।

একটি বিবৃতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেছেন, ‘আমাদের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই আসামীরা—অস্ত্র, রাজনৈতিক সমর্থন ও ইরান সরকারের অর্থায়নে সজ্জিত হিজবুল্লাহ’র সমর্থনে— ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংস ও এই লক্ষ্য অর্জনে বেসামরিকদের হত্যা করতে হামাসের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছে।’

অভিযোগে ছয় আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের তিনজনই মৃত। জীবিত আসামীরা হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার, যিনি গাজায় লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হয়; খালেদ মেশাল, যিনি দোহায় থাকেন ও গোষ্ঠীটির প্রবাসী কার্যালয়ের প্রধান; এবং লেবাননে অবস্থিত হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা আলি বারাকা।

নিহত অভিযুক্তরা হলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ, যাকে জুলাইয়ে তেহরানে হত্যা করা হয়; সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মাদ দেইফ, যাকে জুলাইয়ের বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছিল ইসরায়েল এবং ডেপুটি মিলিটারি কমান্ডার মারওয়ান ইসা, যাকে মার্চের এক হামলায় হত্যার দাবি করেছিল ইসরায়েল। হানিয়েহের মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দায় স্বীকার করেননি।

বিচার বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রসিকিউটররা ফেব্রুয়ারিতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল। তবে হানিয়েহকে গ্রেফতারে আশায় অভিযোগটি প্রকাশ করা হয়নি। তবে তার মৃত্যুর পর অভিযোগটি নিয়ে প্রকাশ্যে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিচার বিভাগ।