সাবেক দুই মন্ত্রী ও এক এমপির দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু 

সাবেক দুই মন্ত্রী ও এক সংসদ সদস্যের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু।

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো আকতারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জানান, হবিগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তার আত্মীয়-স্বজনের নামে সিন্ডিকেট তৈরি করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। দেশে-বিদেশে তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক মনে হয়েছে। যে কারণে তার ও পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আর লালমনিরহাট- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, ভূয়া রোগী সাজিয়ে সরকারী অনুদানের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, করোনাকোলে প্রশিক্ষণ না করিয়ে বিল উত্তোলন, কাজ না করেই টিআর, কাবিখার মত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মায়ের নামে ‘করিমপুর নূরজাহান-সামসুন্নাহার মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল’ নির্মাণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। দেশে- বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

এছাড়া খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আকতারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন বলেও জানান দুদক কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্য হয়েও স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন দফতরে নিজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের নামে কাজ করে দেশের আইন লঙ্ঘন করেছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ স্ত্রী ও সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য অর্জন করেছেন।

এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। যে কারণে তার ও পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।