Attempt to rape: গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, না পারায় নির্যাতিতা- ঠাকুমাকে কুপিয়ে আত্মঘাতী যুবক

ঘরের ভিতরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা। আর ধর্ষণে বাধা পাওয়ায় কাঠারি দিয়ে গৃহবধূ এবং তার ঠাকুমাকে কোপালো যুবক। শেষে বাড়ির পাশ থেকেই উদ্ধার হল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার আওদা গ্রামে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আজ সকালে বাড়ির কাছে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় যুবকের। পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক। ওই যুবকের নাম উৎপল মণ্ডল।

আরও পড়ুন: আগে বলেছিলেন যে পুলিশ কোনও টাকা দেয়নি! ‘RG করের তরুণীর বাবার’ ভিডিয়ো পোস্ট TMC-র

জানা গিয়েছে, উৎপলের বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও রয়েছেন ভাই, বোন। গ্রামেই তার একটি পোলট্রি ফার্ম রয়েছে। সম্পর্কে উৎপল ওই গৃহবধুর ভাশুর। গৃহবধুর পরিবারের দাবি, মাঝেমধ্যেই তাদের বাড়িতে যেত উৎপল। তবে গৃহবধুর উপর যে তার কুনজর ছিল তা কেউই টের পাননি। নির্যাতিতার অভিযোগ, গতকাল রাতে তিনি বাড়িতে নিজের সন্তানের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঠিক সেই সময় বাড়ির পাঁচিল টপকে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে উৎপল। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তবে গৃহবধূ বাধা দিতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। সেই সময় গৃহবধুর কপালে সজোরে কাটারির কোপ মারে ওই যুবক। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গৃহবধূর ঠাকুমা ছুটে এলে তাকেও কাটারির কোপ মেরে দড়ি দিয়ে বেঁধে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে যায় গ্রামে। দ্রুত তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হতেই রাতে গ্রামে পৌঁছয় মল্লারপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত উৎপলের খোঁজে তার বাড়ি যায় পুলিশ। তাকে না পেয়ে তার বাবাকে মল্লারপুর থানায় নিয়ে যায়। এরপরই আজ সকালে ওই অভিযুক্ত যুবক উৎপল মণ্ডলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় গ্রামের একটি গাছ থেকে। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে উৎপল মণ্ডলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে মল্লারপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উৎপল মণ্ডলের বাবা অষ্টম কুমার মণ্ডলের দাবি, তিনি কিছুই জানেন না। রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ পুলিশ এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারেন তার ছেলে আত্মঘাতী হয়েছে। কী কারণে আত্মহত্যা কেনই বা তাকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেল সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মল্লারপুর থানার পুলিশ।