Badlapur case: ‘ছেলেদের পড়ান, মেয়েদের বাঁচান’ যৌন নির্যাতন মামলায় পরামর্শ বম্বে হাইকোর্টের

মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে দুই স্কুল ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের মামলায় সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিল বম্বে হাইকোর্ট। মেয়েদের উন্নয়নে কেন্দ্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল  ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’। তবে বম্বে হাইকোর্ট সেই স্লোগান পরিবর্তন করে ‘বেটে কো পড়াও, বেটি বাঁচাও’ (ছেলেদের পড়ান, মেয়েদের বাঁচান) করার পরামর্শ দিল। আসলে যেভাবে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে যুবকদের আরও সচেতন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জনগণের চাপে পড়ে যেনতেন প্রকারে একটি মামলা তৈরি করে তদন্তকারীদের দ্রুত চার্জশিট দাখিল এড়িয়ে যেতে বলেছে আদালত।

আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! উত্তাল মহারাষ্ট্রের বদলাপুর, রেলট্র্যাকে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ

মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে ডেরের ডিভিশন বেঞ্চ ছেলেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। তখনই বিচারপতি ডেরে  মন্তব্য করেন, ‘ছেলেদের শিক্ষিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’। তিনি তখন সরকারি স্লোগান পরিবর্তন করে ‘বেটে কো পড়াও, বেটি কো বাঁচাও’ করার পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য, গত মাসে চার বছর বয়সি দুই ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে।

সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল বীরেন্দ্র সরফ মঙ্গলবার শুনানির সময় আদালতকে জানান যে শীঘ্রই চার্জশিট দাখিল করা হবে। বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে জানায়, ‘সিট এই মামলার তদন্ত করছে। এই মামলা ভবিষ্যতে এই ধরনের সব মামলার নজির তৈরি করবে। জনগণ দেখছে এবং আমরা কী বার্তা দিচ্ছি তা গুরুত্বপূর্ণ।তাড়াহুড়ো করে চার্জশিট দাখিল করবেন না। এখনও সময় আছে। জনসাধারণের চাপে যাবেন না। অভিযোগপত্র দাখিলের আগে সঠিকভাবে তদন্ত করতে হবে। চার্জশিট দাখিল করার আগে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।’ 

এদিকে, কেস ডায়েরি নিয়ে সিটের সমালোচনা করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, তদন্তের প্রতিটি ধাপ কেস ডায়েরিতে উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু, তা করা হয়নি। এইভাবে লেখা হলে কেস ডায়েরি লেখার উদ্দেশ্য নষ্ট হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, বদলাপুরে এই যৌন নির্যাতনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুমুল বিক্ষোভ করেছিলেন শহরবাসী। স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করার পাশাপাশি বদলাপুর রেল স্টেশনও দীর্ঘক্ষণ ধরে তারা অবরোধ করেন। কার্যত পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বাঁধে ক্ষিপ্ত জনতার।  পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় পুলিশ বহু মানুষকে গ্রেফতার করে। ৫০০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে।