IC-814 Hijack got gift from terrorist: IC-814 বিমানের জঙ্গির গিফট, যত্ন করে রেখে দিয়েছেন মহিলা, চেয়ে নিয়েছিলেন অটোগ্রাফও

তাঁদের বিমান হাইজ্যাক করে রেখেছিল। মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য জঙ্গিদের (২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার মূলচক্রী মাসুদ আজহার, হরকত-উল-আনসারের জঙ্গি ওমর সইদ শেখ এবং কাশ্মীরি জঙ্গি মুস্তাক জারগার) রেহাইয়ের বিনিময়ে যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল এক যাত্রীকে। আর যে জঙ্গিরা ১৯৯৯ সালে সেই ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি-৮১৪ বিমান (কান্দাহার) হাইজ্যাক করেছিল, তাদের দু’জনের ‘অটোগ্রাফ’ রেখে দিয়েছেন এক মহিলা। এক জঙ্গি তো তাঁকে শাল উপহার দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। আর সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই শালের ছবিও দেখিয়েছেন পূজা কাটারিয়া নামে ওই মহিলা। 

‘প্লেনেই জন্মদিন সেলিব্রেট’ 

সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের সাক্ষাৎকারে পূজা দাবি করেছেন, ‘আসলে আমার জন্মদিন উদযাপন হয়েছিল। আমি বললাম না, বার্গারের (জঙ্গি) আচরণ কিছুটা বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। তো আমি ওকে এমনিই বলেছিলাম যে আমার জন্মদিন। দয়া করে আমায় ছেড়ে দাও। তো ও প্লেনেই ঘোষণা করে জন্মদিন সেলিব্রেট করেছিল।’

আরও পড়ুন: ‘মুসলিম জঙ্গিদের নাম ভোলা,শঙ্কর’! চাপের মুখে আইসি-৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক-এ বদল আনল নেটফ্লিক্স

শালে ২ জঙ্গির ‘অটোগ্রাফ’

পূজা আরও বলেন, ‘ও (বার্গার) যে শালটা পরেছিল, সেটা আমায় দিয়েছিল। শেষদিনে যখন ওরা বলেছিল যে আপনাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, দাবিপূরণ হয়ে গিয়েছে। তারপর ওর থেকে অটোগ্রাফ নিয়েছিলাম।’ সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন যে শালে ‘ডক্টর’-ও (অপর এক জঙ্গি) ‘অটোগ্রাফ’ দিয়েছিল। 

‘ও আমায় বোন বলেছিল’

সেই শালে ‘বার্গার’ (যখন বন্দী করে রাখা হয়েছিল, তখন অন্তক্ষরী খেলাত বলে দাবি করেছেন মহিলা) এবং ‘ডক্টর’-র যে ‘অটোগ্রাফ’ আছে, সেটাও দেখান পূজা। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার প্রিয় বোন এবং তার হ্যান্ডসাম স্বামীকে (দিলাম)।’ 

আরও পড়ুন: WB Army Captain martyred in Doda: ‘দেশের জন্য শহিদ, কোনও আক্ষেপ নেই’, গর্বিত ডোডায় শহিদ বাংলার সেনা অফিসারের বাবা

সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন যে ‘বার্গার’ তাঁকে ‘বোন’ বলেও অভিহিত করেছিল। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’তে তিনি বলেছেন, ‘এটা আসলে বার্গারের দেওয়া উপহার। যে হাইজ্যাক করেছিল। ৩০ ডিসেম্বর তথা শেষদিনে ওর অটোগ্রাফ নিয়েছিলাম। ও আমায় বোন বলেছিল। আর আমায় এই অটোগ্রাফ দিয়েছিল।’

‘বার্গার’ আসলে কোডনেম ছিল

‘বার্গার’, ‘ডক্টর’ আসলে জঙ্গিদের কোডনেম ছিল। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাঁচজন জঙ্গির নাম ছিল – ইব্রাহিম আথার, শাহিদ আখতার সইদ, সানি আহমেদ কাজি, জাহুর মিস্ত্রি এবং শাকির। আর এখন যে নেটফ্লিক্সের সিরিজ নিয়ে নাম-বিতর্ক হচ্ছে, তাতে জঙ্গিদের কোডনেম ‘চিফ’, ‘ডক্টর’. ‘শংকর’, ‘ভোলা’ এবং ‘বার্গার’ ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘ইসলামোফোবিয়া আবার বেড়ে না যায়’, ২৫ বছর আগে কান্দাহারে প্লেন হাইজ্যাকের সময় কী ভেবেছিলেন নাসিরুদ্দিন?