আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রতিদিনই শহর থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ মিছিল। তা নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকার। সেই আবহে সমাজমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করা এবং সংগঠনের কাজ ঠিকমতো না করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ৬ পদাধিকারীকে বহিষ্কার করা হল। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের যে ৬ সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের রয়েছেন সংগঠনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট পলাশ সাঁধুখা। বিভিন্ন জেলার এই সমস্ত পদাধিকারীকদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আরজি করে চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে পথে নামা পড়ুয়া-শিক্ষকদের ‘বাধা’, আঙুল TMC-র দিকে
এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সমাজ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করার পাশাপাশি তারা সংগঠনের দায়িত্ব পালন ঠিকমতো করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই নিয়ম মেনে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রেস বিবৃতি জারি করে এই বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক অপু চক্রবর্তী, উত্তর কলকাতা জেলা সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুন, পূর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক রমেন চন্দ, বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি অরুন কুমার দে, আলিপুর দুয়ার জেলার সাধারণ সম্পাদক রত্নদ্বীপ ভট্টাচার্য। এই সমস্ত নেতাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই সমস্ত নেতারা সংগঠনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের প্রথমে শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁদের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও রত্নদীপ বাবু জানান, তিনি লোকসভা নির্বাচনের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তিনি সেই সময় দলের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই অভিযোগ ঠিক নয়। তাই তিনি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন।