আরজি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির তদন্তে আরও একজনকে আটক করল পুলিশ। আটক হলেন ন্যশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। গত ৯ অগাস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যালে যে সেমিনার রুমে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তিনি নিজেকে সন্দীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক বলে পরিচয় দিতেন বলে দাবি। তাঁকে সন্দীপ ঘোষের বাংলোয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন – নবান্নে পর্যালোচনা বৈঠক ডাকলেন মমতা, আরজি কর নিয়ে বিরাট চাপে তৃণমূল
পড়তে থাকুন – ‘…পরীক্ষা নেবেন না’, বোসের বার্তা মমতাকে, নির্যাতিতার পরিবারের চিঠি শাহের টেবিলে
শুক্রবার সকালে সোনারপুরে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। শুরু হয় তল্লাশি। গত ৯ অগাস্ট সকালে আরজি করের সেমিনার হলে দেখা গিয়েছিল ন্যশনাল মেডিক্যাল কলেজের এই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে। কয়েক ঘণ্টা তল্লাশির পর দুপুরে তাঁকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যান ইডির তদন্তকারীরা। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিজেকে সন্দীপ ঘোষের পিএ বলে পরিচয় দিতেন প্রসূন। তিনিও সন্দীপের দুনীতিতে যুক্ত। ন্যশনাল মেডিক্যালের কর্মী হয়েও ৯ অগাস্ট সকালে তিনি আরজি কর মেডিক্যালে কী করছিলেন সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
আরও পড়ুন – বর্ধমান মেডিক্যালের গেস্ট হাউজে আইবুড়ো ভাত অভীকের, ভাইরাল সন্দীপ ঘনিষ্ঠের ছবি
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসূনবাবুর মোবাইল ফোনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে আটক করে ঘুটিয়ারি শরিফে সন্দীপ ঘোষের বাংলোয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিন প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়াও সন্দীপ ও সন্দীপ ঘনিষ্ঠের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছেন EDর গোয়েন্দারা। বিমানবন্দর লাগোয়া একটি আবাসনে সন্দীপের শ্যালিকার ২টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে একটি কালো স্যুটকেস উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।