‘ভয় দেখিয়ে কাজ না হওয়ায় অপরাজিতা বিল এনে মানুষকে বোকা বানাতে চাইছেন মমতা’

আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্যে ধর্ষণের সাজা বৃদ্ধি করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আনা ‘অপরাজিতা’ বিলের সমালোচনা করল আরও একটি বিরোধী দল। এই বিলের অভিসন্ধি নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। 

আরও পড়ুন – নবান্নে পর্যালোচনা বৈঠক ডাকলেন মমতা, আরজি কর নিয়ে বিরাট চাপে তৃণমূল

পড়তে থাকুন – ‘…পরীক্ষা নেবেন না’, বোসের বার্তা মমতাকে, নির্যাতিতার পরিবারের চিঠি শাহের টেবিলে

 

শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তিনি বলেন ভারতবর্ষে যে আইন আছে সেই আইনে কঠোরতম সাজার ব্যবস্থা আছে। ভারতবর্ষের পসকো আইন, ‘ক্রিমিনাল ল’তে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা আছে। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তার এবং সাধারণ নাগরিকদের এই আন্দোলনকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রথমে তিনি ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তারপরে যখন দেখলেন ভয়-ভীতিতে এদের দমন করে রাখা যাবে না তখন তিনি এই অপরাজিতা বিল এনে মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে।’ অধীর বলেন, ‘তিনি যখন দেখলেন কোনও টোটকাতেই কাজ হচ্ছে না তখন তিনি অপরাজিতা বিল এনে জনসমক্ষে এক নতুন টোটকা আনলেন।’

আরও পড়ুন – বর্ধমান মেডিক্যালের গেস্ট হাউজে আইবুড়ো ভাত অভীকের, ভাইরাল সন্দীপ ঘনিষ্ঠের ছবি

রাজ্যের আনা অপরাজিতা বিলের অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। তিনি বলেন, অন্ধপ্রদেশ,মহারাষ্ট্র এবং অরুণাচলের মতো কয়েকটি রাজ্যে চালু থাকা বিলের থেকে টুকে বাংলার অপরাজিতা বিল তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর ধর্ষণ-বিরোধী বিল নিয়ম মেনে রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। তবে দাবি করা হচ্ছে, বিলের সঙ্গে যে টেকনিক্যাল রিপোর্টের প্রয়োজন পড়ে, তা রাজভবনে পাঠানো হয়নি। এই আবহে বিলে রাজ্যপাল সম্মতি দিতে পারেন না। রাজ্যপাল বলেন, জনগণকে ভুল বোঝাতে এই বিল পাশ করা হয়েছে।