Apathy in Maharashtra: মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স, ২ মৃত সন্তানকে কাঁধে করেই ১৫ কিমি হেঁটে বাড়ি ফিরল দম্পতি

সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় এক সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল দুই সন্তানের। তাতে স্বাভাবিকভাবেই শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন বাবা-মা। তার ওপর কোনও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা না মেলায় শেষ পর্যন্ত দুই সন্তানকে কাঁধে করে নিয়েই গ্রামে ফিরলেন দম্পতি। স্বাস্থ্য পরিষেবার এমনই ভয়াবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রে গঢ়চিরৌলির। এই ঘটনা ওড়িশার কালাহান্ডিতে আট বছর আগেকার স্মৃতি আবার উসকে দিল। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চরম নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধী থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ।

আরও পড়ুন: অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর মৃত্যু, রাজনৈতিক তরজা শুরু হতেই তদন্তের নির্দেশ

বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা বিজয় ওয়াডেত্তিওয়ার সেই ভিডিয়ো নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি কর্দমাক্ত জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মৃত সন্তানদের কাঁধে নিয়ে যাচ্ছে দম্পতি। জানা গিয়েছে, জ্বরের কারণে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অবস্থার অবনতি হয় এবং পরপর দুটি সন্তানের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তাদের গ্রাম পট্টিগাঁও অবস্থিত। তবে মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স তাঁরা পাননি। তাই শেষমেষ বৃষ্টিতে ভেজা কর্দমাক্ত পথ দিয়ে ১৫ কিলোমিটার হেঁটে যেতে বাধ্য হন দম্পতি। এই ঘটনায় গঢ়চিরৌলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক ভয়াবহ বাস্তবতা সামনে এসেছে বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি লেখেন, ‘উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকার প্রতিদিন সারা মহারাষ্ট্রে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে যাচ্ছে। অথচ স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল। তাদের দেখা উচিত গঢ়চিরৌলির লোকেরা কীভাবে বাস করেন।’

উল্লেখ্য, এই মর্মান্তিক ঘটনাটির আগে এই মাসের শুরুতে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলে একই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে এক গর্ভবতী আদিবাসী মহিলা বাড়িতে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে যান। তার পরিবার একটিও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অবশেষে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসায় বিলম্বের কারণে তিনি এবং তার শিশু উভয়ই মারা যান। বিরোধী দলনেতা বলেছেন, সরকারের উচিত অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাকে আরও ভালো করা।