Congo: কঙ্গোর কারাগার থেকে পালাতে গিয়ে মৃত ১২৯

কঙ্গোতে কারাগার ভেঙে পালানোর চেষ্টা করার সময় ১২৯ জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই পদদলিত হয়ে প্রাণ হারান। গার্ডের গুলিতেও মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন অধিকর্তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গুলি চলে। একজন উচ্চপদস্থ অধিকর্তা এর আগে বলেছিলেন যে এই ঘটনায় মাত্র দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: (Non veg Tiffin issue in UP: টিফিনে ছিল বিরিয়ানি! আমিষ খাবার আনায় ক্লাস থ্রির পড়ুয়াকে বহিষ্কার স্কুলের, খবরে UP)

কিন্তু, কঙ্গোর কারাগারের এক বিশিষ্ট কর্মী ইমানুয়েল আদু কোল, দাবি করেছেন যে এই হামলায় ২০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু, এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কঙ্গোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকমিন শাবানি আবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, গার্ডের গুলিতে ২৪ জন বন্দী নিহত হয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের সুস্থ করার জন্য চিকিৎসা করা হচ্ছে। এছাড়া এদিন নারী ধর্ষণের কিছু ঘটনাও সামনে এসেছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন: (Sandip Ghosh Latest Update: হল শুনানি, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন আরজি কর দুর্নীতিতে ধৃত সন্দীপ ঘোষ)

ডেপুটি জাস্টিস মিনিস্টার এমবেম্বা কাবুয়া স্থানীয় ‘টপ কঙ্গো এফএম রেডিও’কে বলেছেন যে জেল ভাঙার পরিকল্পনা কারাগারের কয়েদিরা নিজেরাই করেছিলেন। হামলার পরে, কারাগারের দিকে যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। বিচারমন্ত্রী কনস্ট্যান্ট মুতাম্বা এই হামলাকে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্ত বলে মনে করছেন।

আরও পড়ুন: (Bangladesh hindu murder: নবির সম্পর্কে ‘আপত্তিকর মন্তব্য’, বাংলাদেশে থানায় ঢুকে হিন্দু কিশোরকে পিটিয়ে খুন)

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে যে মাকালা কারাগারটি কঙ্গো রাজধানীতে অবস্থিত। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে শহরের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে এই কারাগারটি। প্রধান কারাগার এটি। এই কারাগারে ১,৫০০ বন্দীর থাকার মতো জায়গা রয়েছে। কিন্তু সেই জায়গায় এখন ১২,০০০ বন্দীকে রাখা হয়েছে। এই বন্দীদের অধিকাংশই শুনানি শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

তবুও বিচারমন্ত্রী কারাগার থেকে বন্দীদের স্থানান্তরের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তবে, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে কারাগারের ভিড় কমাতে প্রশাসন শীঘ্রই একটি নতুন কারাগার তৈরি করবে। এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৭ সালে কারাগার ভেঙে বন্দিদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সে বছর একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় শত শত বন্দিকে মুক্ত করেছিল।