Rahul Gandhi: রাজীবের থেকেও বেশি বুদ্ধিমান রাহুল, সার্টিফিকেট দিলেন স্যাম পিত্রোদা

রাহুল গান্ধী রাজীব গান্ধীর থেকেও বেশি বুদ্ধিমান। তাঁর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সমস্ত গুণই রয়েছে। কংগ্রেস নেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন স্যাম পিত্রোদা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেই রাহুলের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের সভাপতি। পিত্রোদা বলেছেন যে রাজীব গান্ধী, পিভি নরসিমহা রাও, মনমোহন সিং, ভিপি সিং, চন্দ্রশেখর এবং এইচডি দেবগৌড়ার মতো অনেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একযোগে কাজ করেছেন রাহুল।

এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর মধ্যে মিল এবং পার্থক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। উত্তরে পিত্রোদা রাহুলের প্রশংসা করে বলেন যে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর থেকেও বেশি কৌশলবিদ অর্থাৎ স্ট্রাটেজিস্ট। রাহুল তাঁর জীবনে দু’ টি বড় ধাক্কা খেয়েছেন, একটি ছিল তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু এবং অন্যটি তাঁর বাবার মৃত্যু। শিকাগোয় বসে পিটিআইকে তিনি আরও বলেছেন যে ‘আমি অনেক প্রধানমন্ত্রীকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু রাহুল এবং রাজীবের মধ্যে যে পার্থক্যটা রয়েছে, তা হল রাহুল অনেক বেশি বুদ্ধিজীবী, চিন্তাবিদ।

আরও পড়ুন: (Non veg Tiffin issue in UP: টিফিনে ছিল বিরিয়ানি! আমিষ খাবার আনায় ক্লাস থ্রির পড়ুয়াকে বহিষ্কার স্কুলের, খবরে UP)

পিত্রোদার কথায় রাহুল ও রাজীবের ডিএনএ এক। জনগণের প্রতি তাঁদের অনুভূতি এক। প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেকের জন্যই উন্নত ভারত গড়ার কথা ভেবেছেন দুজনেই। তাঁরা দুজনেই অত্যন্ত সাধারণ মানুষের মতো বাঁচেন, তাঁদের কোনও ব্যক্তিগত চাহিদা নেই। রাহুল ও রাজীব গান্ধী উভয়কেই তিনি ‘ভারতীয় ধারণার রক্ষক’ বলে অভিহিত করেছেন। নরসিমা রাও এবং মল্লিকার্জুন খার্গের মতো নেতারাও এমনটাই বিশ্বাস করেন বলে দাবি পিত্রোদার। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেছেন যে দেশটির প্রতিষ্ঠাতারা যে ভারত কল্পনা করেছিলেন তা বাস্তবে কার্যকর করাই তাঁদের দায়িত্ব।

কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, অনেকবারই মোটা টাকা খরচ করে রাহুলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। সুশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে নিয়ে মিথ্যা দাবি করা হয়েছে, যেমন বলা হয়েছিল তিনি কখনও কলেজেই যাননি। এত বিভ্রান্তিকর কথা ছড়ানোর পরেও হার মেনে নেননি রাহুল। লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন একনাগাড়ে। রাহুলের এই কাজের প্রশংসা করেছেন তিনি। বলেছেন, ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে আসল রাহুলকে চিনেছেন মানুষ। এখন সত্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। পিত্রোদার মতে, ‘আপনি জনগণের কাছে সব সময় মিথ্যা বলতে পারেন না। মানুষ এখন সবটা বুঝতে শুরু করেছে। আগে বলা হয়েছিল ‘আমরা ২০ মিলিয়ন কর্মসংস্থান তৈরি করব’, কিন্তু তা করা হয়নি, বলা হয়েছিল কালো টাকা ফিরিয়ে আনা হবে, তাও হয়নি।’

আরও পড়ুন: (Sandip Ghosh Latest Update: হল শুনানি, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন আরজি কর দুর্নীতিতে ধৃত সন্দীপ ঘোষ)

রাহুলকে কি ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখছেন পিত্রোদা

পিত্রোদার রাহুল গান্ধীকে ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছেন কিনা, এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পিত্রোদা বলেন, এটা জনগণেরই সিদ্ধান্ত। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি তিনি অত্যন্ত সক্ষম। তিনি একজন শালীন মানুষ, তিনি সুশিক্ষিত। এ বিষয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

৪ জুনের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে মিঃ পিত্রোদা বলেন, ‘গত নির্বাচনে, একটা চিন্তা ছিল যে বিজেপি ৪০০ আসন জিততে পারে। তা হলে খুব বেশি ক্ষমতা পেয়ে যেতে পারত এই পার্টি। তা সংবিধানের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারত, বিরোধী দলের আরও স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি বাড়তে পারত। তাই, বিজেপির আসন ২৪০-এ নামিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ ভারতের জনগণ গণতন্ত্র, সংবিধান, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারকে মূল্য দেবে বলেই আশা রেখেছেন ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের সভাপতি।

আমেরিকা সফরে রাহুল

লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা হওয়ার পর এই প্রথম আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন গান্ধী। ৮-১০ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় থাকবেন তিনি। এই সফরের সময়, তিনি জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় এবং টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় সহ ওয়াশিংটন ডিসি এবং ডালাসে বেশ কয়েকটি সভা এবং ইভেন্ট করবেন। পিত্রোদা এ প্রসঙ্গেও বলেছেন যে আগামী সপ্তাহে মিঃ গান্ধীর আসন্ন মার্কিন সফর কোনও অফিশিয়াল সফর নয়। তবে, তিনি এই সফরে ব্যক্তিগতভাবে ক্যাপিটল হিলে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দেখা করার এবং যোগাযোগ করার সুযোগ পাবেন। গান্ধী ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।