গুরুতর অসুস্থ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, এইমস হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে পাঠানো হল সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। গতকাল রাতে ৭২ বছর বয়সের এই প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতাকে আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়। ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে গত ২৯ অগস্ট নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি হন সীতারাম ইয়েচুরি। এই ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন সিপিএমের নেতারা। অনেকেই এইমসে ফোন করে খবর নিয়েছেন। আবার অনেকে এসে জেনে যেতে চান সীতারাম ইয়েচুরি কেমন আছেন। তারও পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে চিকিৎসকরা এখনই কিছু বলতে চাইছেন না। শুধু ‘‌ক্রিটিক্যাল’‌ এইটুকুই বলছেন।

সীতারম ইয়েচুরির চিকিৎসায় একদল চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু তার মধ্যেই সীতারাম ইয়েচুরির এমন শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উদ্বিগ্ন কমরেডরা। গত ১৯ অগস্ট এইমসের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল সীতারাম ইয়েচুরিকে। পরে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তাঁর ফুসফুসে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়ায় সেই চিকিৎসা করা হচ্ছিল। কদিন আগে তাঁর চোখে ছানি অপারেশনও হয়েছিল। তাই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণের পর তিনি কলকাতায় আসতে পারেননি।

আরও পড়ুন:‌ সোনাঝুরিতে বন দফতরের জমি দখলের অভিযোগ, সরকারি জমিতে কেমন করে রিসর্ট নির্মাণ?‌ 

বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা ঝুঁকি এড়াতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে দেন। এখন একটি মেডিকেল বোর্ড পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতাকে। ঠিক কী কারণে তাঁর অবস্থার অবনতি হল?‌ সেটা অবশ্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণের পর তিনি হাসপাতাল থেকেই স্মরণসভার জন্য ভিডিয়ো বার্তা পাঠান। তারপর ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে আবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, ৭২ বছর বয়সের ইয়েচুরির ফুসফুসের চিকিৎসা চলছে।

সিপিএমের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, একটি বিশেষজ্ঞ দল সীতারাম ইয়েচুরির শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার চিকিৎসা চালাচ্ছেন। সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। ২০১৬ সালে রাজ্যসভার সেরা সংসদ সদস্যের পুরস্কারও পান ইয়েচুরি। ১৯৭৪ সালে তিনি এসএফআই ছাত্র সংগঠনে যোগ দেন ৷ একবছর পরই তিনি সিপিএমের পার্টি সদস্য হন ৷ তিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময় জেএনইউয়ের ছাত্র থাকাকালীন তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বামেদের শক্ত ঘাঁটি তৈরির অন্যতম কারিগর সীতারাম ইয়েচুরি ও প্রকাশ কারাট।