রাশিয়াতে ইরানের ‘সম্ভাব্য’ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ 

রাশিয়াতে ইরান ব্যালিস্টিক মিসাইল সরবরাহ করলে ইউক্রেন সংকট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। দুই দেশের সামরিক অংশীদারিত্ব দৃঢ় হচ্ছে, এমন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার (৬ আগস্ট) এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউজ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র শন স্যাভেট বলেছেন, ‘ইউক্রেনে সর্বাত্মক অভিযান শুরুর পর থেকেই আমরা রাশিয়া ও ইরানের ঘনিষ্ঠ সামরিক অংশীদারিত্ব সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। রাশিয়াকে ইরান অস্ত্র দেওয়ার মানে হচ্ছে, ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনকে সমর্থন প্রদান করা। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।’

আগস্টের এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছিল, ইরানের পক্ষ থেকে কয়েকশ’ ফাথ-৩৬০ স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল পেতে পারে রাশিয়া। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রুশ বাহিনীর অনেক সদস্য ইরানে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে দেশটির সংবাদ মাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল শুক্রবার জানিয়েছে, রাশিয়াতে স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছে ইরান।

এদিকে, সম্ভাব্য অস্ত্র সরবরাহ সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্য এক মার্কিন কর্মকর্তা।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা কিছুদিন আগেই সতর্ক করেছিল, ইরান এ ধরণের কোনও পদক্ষেপ নিলে তার ফলাফল হবে মারাত্মক। এরপরই সম্ভাব্য অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে অস্বস্তি দেখা দিল।
সাম্প্রতিক মাসে ইরান ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পশ্চিমাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে তেহরানের নৈতিক অবস্থান অপরিবর্তিত আছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি। নিউ ইয়র্কে শুক্রবার এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘যুদ্ধরত কোনও পক্ষকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়া ইরান সমর্থন করে না। এমন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ, যা মানবিক বিপর্যয় ও অবকাঠামোগত ক্ষতির ব্যাপকতা বৃদ্ধি করে এবং সম্ভাব্য সমঝোতার পথ দুর্গম করে- তেহরান তেমন নিষ্ঠুরতার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করবে না। অন্যদেরও আহ্বান জানাবো, যেন তারা যুদ্ধরত কোনও পক্ষকেই সামরিক সহায়তা প্রদানে বিরত থাকে।’