Sandip Ghosh ‘threatened’ lady intern: ‘ঘরের মধ্যে ডেকে…..’, RG করে সন্দীপের ‘কীর্তি’ ফাঁস আরও এক তরুণী ডাক্তারের মায়ের

যত সময় যাচ্ছে, তত সন্দীপ ঘোষের নতুন-নতুন ‘কীর্তি’ সামনে আসছে। এবার এক মহিলা দাবি করেছেন যে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় সন্দীপকে যখন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষ করা হয়েছিল, তখন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছিল। আর তাঁর মেয়ে এবং বন্ধুদের সেই প্রতিবাদের মাশুল ভুগতে হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর মেয়েকে ‘অকথ্য অত্যাচার’ করা হয়েছিল। বেশি-বেশি করে ডিউটি দেওয়া হত। ইন্টার্নশিপ শেষ হওয়ার বিষয়টি আটকে দিয়েছিলেন সন্দীপ। সেজন্য উদভ্রান্তের মতো টানা ১৭ দিন স্বাস্থ্যভবনে ছুটতে হয়েছিল। নিজের যোগ্যতায় যিনি ডাক্তার হয়েছেন, তাঁকে স্রেফ শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য কার্যত সন্দীপের হাতে-পায়ে ধরতে হয়েছিল। তারপরও শপথবাক্য পাঠ করাননি বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা। শুধু তাই নয়, মহিলার অভিযোগ, ‘ঘরের মধ্যে ডেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মাথার চুলটা দেখিয়ে (সন্দীপ) বলেছিল, আমার এটাও ছিঁড়তে পারলি না তোরা।’

RG করে ঢুকে থেকেই দুর্নীতি সন্দীপের, অভিযোগ মহিলার

আর সেই মহিলার বিস্ফোরক অভিযোগের ভিডিয়ো (পৃথকভাবে ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। ওই ভিডিয়োয় মহিলাকে যা অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে, তা বিস্ফোরক। তিনি দাবি করেন, ‘লুকিয়ে-চুরিয়ে সন্দীপকে আরজি করে পাঠানো হয়েছিল। ঢুকে থেকেই শুরু হয়েছিল দুর্নীতি চক্র। ইন্টার্নশিপ করতে গিয়ে তিন মাসের মধ্যে বুঝতে পেরেছিল আমার মেয়ে ও তার বন্ধু-বান্ধবরা।’

আরও পড়ুন: RG Kar Lady Doctor’s Dream: ‘মা আমার টাকা চাই না, নামের পাশ অনেক ডিগ্রি চাই’, বলেছিলেন RG করের তরুণী চিকিৎসক

স্বাস্থ্যভবনে ‘গা-ঢাকা’ দিয়েছিলেন সন্দীপ, দাবি মহিলার

ওই মহিলা দাবি করেছেন, ২০২১ সালের অক্টোবরে যখন সন্দীপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল, তখন আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সেই আবহে কয়েকদিনের স্বাস্থ্যভবনে ‘গা-ঢাকা’ দিয়েছিলেন সন্দীপ। পরবর্তীতে উপরমহল থেকে চাপ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন মহিলা।

আরও পড়ুন: Sandip Ghosh and Kolkata Police: সন্দীপের ‘ঘরে যেতে বাবা-মা’কে এত ফোর্স করছিল পুলিশ, যেন বেঁচে যেত ওখানে গেলে’

তিনি অভিযোগ করেছেন, মেয়ের ইন্টার্নশিপ শেষ হয়ে গিয়েছে – সেটা শুধু যাতে বলা হয়, সেজন্য তাঁদের লাগাতার প্রায় আড়াই সপ্তাহ স্বাস্থ্যভবনে ছুটতে হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে ইন্টার্নশিপ শেষ হলেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল ছাড়তে হবে।’

সন্দীপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মহিলার

মহিলা বলেন, ‘(ওদের মধ্যে) একমাত্র মেয়ে ছিল আমার মেয়ে। বাকিরা ছেলে ছিল। বারবার কান্নাকাটি করতে-করতে বলেছিল যে স্যার আমায় কনভোকেশনটা দিন। আমায় শপথবাক্য পাঠ করিয়ে বলুন যে আমি ডাক্তারটা হয়েছি। এই কান্নাটা মুছে ফেলার জন্য আমরা দৌড়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সেদিন দেয়নি।’ সেইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন যে নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে হাউজস্টাফশিপ করতে দেননি সন্দীপ। বাধ্য হয়ে অন্যত্র তাঁর মেয়েকে সেই কাজটা করতে হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা।

আরও পড়ুন: Double murder convicted ‘CPIM’ man: ২ জনকে মেরে জেলে, প্রাণভয়ে ছিলেন স্ত্রী’রা, সেই ‘লাল’ দুলালও চাইলেন RG করের বিচার?